মৃত রোগীকে রেফার সার্টিফিকেট, অ্যাম্বুলেন্স আটকে বিক্ষোভ

0
101

নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

গত ১০ ই ফেব্রুয়ারি কেশিয়াড়ি থানার আনাড় গ্রামে পুলিনকুমার জানার বাজির কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। আহত হয়েছিলেন দুজন, তাদের মধ্যে রতন করের মৃত্যু হয়েছে।ওড়িশার কটকের একটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল।

protest | newsfront.co
বিক্ষোভ ৷ নিজস্ব চিত্র

পরিবারের লোকজন কাগজ দেখে জানতে পারেন রোগীর পরিবারকে ডেথ সার্টিফিকেট নয়, রেফার সার্টিফিকেট ধরানো হয়েছে। এর প্রতিবাদে হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্স আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয়।গ্রামবাসীরা এর সুষ্ঠু সমাধানের দাবি তোলেন। সারারাত দেহ পড়ে থাকে অ্যাম্বুল্যান্সে। শুক্রবার সকালে কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

police and people | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

মৃত রতন করের দেহ কেশিয়াড়ি হাসপাতালে আনার পর পুলিশ প্রয়োজনীয় কাগজ নিয়ে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। গত ১০ ফেব্রুয়ারি আনাড় গ্রামে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আহত হন রতন কর ও কানাই কর।

দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আহতদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে কটকের একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন রতন করের (৪১) মৃত্যু হয় বলে পরিবারের বক্তব্য।

আরও পড়ুনঃ মোবাইল টাওয়ারে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি, চাঞ্চল্য রঘুনাথগঞ্জে

দেহ বাড়ির পথে নিয়ে আসলে দেখা যায় হাসপাতালের তরফ থেকে রেফার করা হয়েছে রোগীকে।পরিবার ও গ্রামবাসীদের অভিযোগ একদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে রতনের। কোনো ডেথ সার্টিফিকেট না থাকার ফলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল থেকে আসা অ্যাম্বুলেন্সকে আটকে রেখে রাত থেকে চলে এলাকাবাসীদের বিক্ষোভ।পুরো ঘটনাটি নিয়ে জল্পনা তৈরি হচ্ছে।

রোগীর মৃত্যুর সার্টিফিকেট না দিয়ে কেন রেফার করার সার্টিফিকেট দেওয়া হল ? যা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মৃত রতন করের বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা রয়েছে এবং তার তিনটি মেয়েও রয়েছে।এলাকাবাসীদের বক্তব্য খুব আর্থিক অনটনের মধ্য দিয়ে সংসার চলতো রতনের। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিল সে। তার এই মৃত্যুতে দিশেহার পরিবার।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here