হাওয়ালা কাণ্ডে অভিযুক্তদের মুক্তির প্রমাণ দেখান, রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে পোস্ট বিনীত নারায়ণের

0
118

নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ

১৯৯৩ সালের জৈন হাওয়ালা-কাণ্ডকে জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানালেন সাংবাদিক বিনীত নারায়ণ। সাংবাদিক ছাড়াও বিনীত নারায়ণ দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের কর্মী। মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে ধন্যবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, ওই পোস্টেই বিনীত রাজ্যপাল ধনখড়কে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন নৈতিক কারণেই তাঁর পদত্যাগ করা উচিত রাজ্যপালের পদ থেকে।

Jagdeep Dhankhar | newsfront.co
বিনীত নারায়ণ-জগদীপ ধনখড়। কোলাজ চিত্র

একটি ভিডিও বার্তাও এদিন প্রকাশ করেন সাংবাদিক বিনীত নারায়ণ। যেখানে তিনি সরাসরি মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের পোস্টে বিনীত নারায়ণ জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে হাওয়ালা মামলার তদন্ত করার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে বিনীতের প্রশ্ন, দেশের শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণে চলা জৈন হাওয়ালা মামলায় অভিযুক্তরা মুক্তি পেয়েছে এমন কোনো প্রমাণ কি তিনি দাখিল করতে পারবেন!

Vineet Narain | newsfront.co

নিজের পোস্টে বিনীত লিখেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং রাজ্যপাল হিসেবে তাঁর মিথ্যা কথা বলা উচিত নয়। বিনীত আরো লিখেছেন , উদ্ধার হওয়া জৈন ভাইদের ডায়েরিতে তৎকালীন ‘প্রাক্তন মন্ত্রী’ ধনখড়ের নামে ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টি লেখা ছিল। পাশাপাশি, প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কেরলের বর্তমান রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের বিরুদ্ধেও।

আরও পড়ুনঃ ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে কার্যকর করতে হবে ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’, নির্দেশ সুপ্রীম কোর্টের

বিনীতের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আরো বিশদ বিবরণ রয়েছে এই মামলার। “১৯৯৩ সাল থেকে আমি এই মামলা লড়ছি। হাওয়ালা-কাণ্ড শুধু দুর্নীতির নয়, এর সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির অর্থের জোগানের বিষয়টি জড়িত।” এমনটাই তিনি লিখেছেন নিজের পোস্টে।

বিনীতের দাবি, হাওয়ালা কাণ্ডে অভিযুক্তদের আদৌ মুক্তি দেয়নি সুপ্রীম কোর্ট। এমনকি ২০১১ সালে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনার নিয়োগের সময় তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছিলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কোনও সাংবিধানিক পদে রাখা উচিত নয়। সে ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্ন ওঠে।

আরও পড়ুনঃ সুপ্রীম কোর্টে বহাল দিল্লি হাইকোর্টের রায়, ‘অত্যাবশ্যক’ তাই চলবে সেন্ট্রাল ভিস্তার কাজ

ঘটনার সূত্রপাত সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় কে একজন আদ্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ বলে অভিহিত করেন। মুখ্যমন্ত্রী তখনই জৈন হাওয়ালা মামলার চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসেবে ধনখড়ের নাম থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেন। তার কিছুক্ষণ পরেই পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যপাল বলেন মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ অসত্য। হাওয়ালা চার্জশিটে তাঁর নাম ছিল না শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে কোন তথ্য প্রমাণও নেই। তারপরেই আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হাওয়ালা মামলা নিয়ে পোস্ট করলেন বিনীত নারায়ণ।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here