পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
ভোট পর্ব মিটতেই বীরভূম জুড়ে শুরু হয় হিংসা।
নানুর, সাঁইথিয়া,ইলামবাজার, হাসন,একাধিক বিধানসভা এলাকায় শুরু হয় অশান্তি।

কোথাও তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব,আবার কোথাও বিরোধীদের ওপর মারধরের ঘটনা ঘটছে সেখানে অভিযুক্ত তৃণমূল।হিংসা সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে বীরভূম জেলা পুলিশ।
ইলামবাজারে সিপিএম কর্মীর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া,সাঁইথিয়া তে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, নানুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, হাসনে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজিতে দিনভর উত্তপ্ত বীরভূম।নানুর থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে হিংসার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে,উদ্ধার করেছে দুটি দেশি পিস্তল এবং বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি। অন্যদিকে সাঁইথিয়ার কানাইপুর গ্রামে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থামাতে গিয়ে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়।সেখান থেকেও বেশ কয়েকশ তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।রামপুরহাট মহাকুমার হাসন বিধান সভায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে পঞ্চায়েতের টাকার ভাগ নিয়ে শুরু হয় বোমাবাজি।ঘটনার খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী এলাকায় পৌঁছায়।পরিস্থিতি সামাল দেয়।যদিও সাঁইথিয়া এবং হাসনের ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।বীরভূম জেলার বিজেপির সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় অভিযোগ করেন,দিকে দিকে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল।
বিভিন্ন গ্রামে যারা বিজেপির হয়ে কাজ করেছে বা বিজেপির পোলিং এজেন্ট ছিল ভোটের দিন বাজারে গিয়ে তাদের বাড়িতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে,গ্রাম ছাড়া করার ভয় দেখানো হচ্ছে,বিষয়টি নিয়ে আজকে জেলা পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথের সাথে দেখা করি,বীরভূম জেলার বিজেপি কর্মীদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে তা নিয়ে আমরা অভিযোগ জানাই,বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার আশ্বস্ত করেছেন এবং জানিয়েছেন বিষয়টি তিনি দেখছেন।
আরও পড়ুনঃ ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত
তবে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বিভিন্ন মিটিং থেকে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছিলেন,ভোটের আগে, ভোটের দিন, এবং ভোটের পরে নকুলদানা ও পাচন দাওয়াই চলবে,বীরভূম জেলার যা পরিস্থিতি অনুব্রত মণ্ডলের সেই দাওয়াই কেই তৃণমূল কর্মীরা হাতিয়ার করে দিকে দিকে বিরোধীদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে বলে রাজনৈতিক মহলের মত।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584