নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
রণক্ষেত্র সিঙ্ঘু সীমানা। ভয়াবহ আকার ধারণ করলো কৃষক আন্দোলন। বিরোধীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালেন প্রতিবাদী চাষীরা। কৃষকদের লক্ষ্য করে স্থানীয়রা ইঁট ছুঁড়েছেন বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। ফলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সিঙ্ঘু সীমানা। শুক্রবার সকাল থেকে সিঙ্ঘু এবং তিকরি সীমান্তেও ভিড় করতে শুরু করেন কৃষকরা। ফলে ওইসব এলাকায় কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কৃষকদের প্রতিবাদের মধ্যেই একদল এসে এলাকা ছাড়ার দাবি জানায়। আন্দোলনের ফলে তাঁদের জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে বলে দাবি করে স্থানীয়রা।
২৬ জানুয়ারি লালকেল্লায় তাণ্ডবের পর কৃষক আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে সরে গিয়েছে বেশ কয়েকটি কৃষক সংগঠন। একের পর এক কৃষক নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। এমনকী বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর থেকে বিক্ষোভ হঠানোর জন্য নোটিসও জারি করেছে যোগী প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে যখন কৃষকদের আন্দোলন কিছুটা ব্যাকফুটে বলে মনে করা হচ্ছে ঠিক তখনই আবারও গতি পাচ্ছে কৃষক আন্দোলন।
ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের (বিকেইউ) মুখপাত্র রাকেশ তিকাইতের আবেগতাড়িত আবেদনের পর শুক্রবার সকাল থেকে সিংঘু এবং তিকরি সীমান্তেও ভিড় করতে শুরু করেছেন কৃষকরা। ফলে ওইসব এলাকায় কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পুলিশি চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই ক্রমাগত কৃষকদের ভিড় বাড়ছে মীরাট, বাগপথ, বিজনৌর, মোরাদাবাদ, বুলান্দশহরে।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যের ১১১ পুরসভায় দ্রুত ভোট করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই গাজিপুর থেকে আবস্থানকারী কৃষকদের সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন। সেই মত প্রস্তুতিও শুরু করে প্রশাসন। মজুত করা হয় প্রচুর পুলিশ বাহিনী, ব়্যাফ, জল কামান। এছাড়া, সিংঘু এবং টিকরির বিক্ষোভস্থলেও প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়ার পাশাপাশি জল সরবরাহও বন্ধ করে দেওয়া হয় গাজিপুরে।
আরও পড়ুনঃ ক্ষমা চাইবেন না, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামায় সাফ জানালেন কুণাল কামরা
পাল্টা প্রতিবাদী কৃষকরাও জানিয়ে দেন, কোনও মতেই তাঁরা গাজিপুরের বিক্ষোভস্থল ছাড়বেন না। এমনকী প্রশাসন জোর খাটালে, “জীবন বাজি রেখে’ চরম আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন-এর জাতীয় মুখপাত্র রাকেশ টিকায়েত বলেন, ‘আত্মহত্যা করব। কিন্তু, যতক্ষণ পর্যন্ত কৃষি আইন প্রত্যাহার না হয়, ততক্ষণ আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।“
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584