সিমা পুরকাইত,দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ
বিশ্বকর্মা পুজো মানেই দুর্গাপুজোর ঘণ্টা বেজে গেল।আকাশে ঘুড়ির মেলা মন নিয়ে যায় সেই ছোটবেলায়।বিশ্বকর্মা পুজো ঘিরে একটা প্রশ্ন মনে বারবার উঁকি মেরেছে।বিদ্যার দেবী সরস্বতী, অর্থের দেবী লক্ষ্মী,শক্তির দেবী দুর্গা-কালী আর শিল্পের দেবতা বিশ্বকর্মা।
বিশ্বের স্রষ্টা বিশ্বকর্মা।কারন কর্মযোগি দেবতা বলতে বিশ্বকর্মাকে বোঝাই।যে বিশ্বাস আর ভক্তিতে এবার বিশ্বকর্মা পূজায় মেতেছেন শিরাকল গ্রামপঞ্চায়েতের রাজার হাট অযোদ্ধানগরের ভেপকো।শতাধিক শ্রমিক এলাকার মানুষদের নিয়ে পূজা আরাধনায় ব্যস্ত।
বিশ্বকর্মা পূজার দিন ফিতে কেটে উদ্বোধন করেন শিরাকল গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান আব্দুল রহিম মোল্লা (ভুলু)। উপরে আল্লা নিচে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গিয়াস মোল্লা আজও সাধারন মানুষের কাছে রয়েছে চোখের মনি।
আরও পড়ুনঃ জলদাপাড়ায় বিশ্বকর্মা বাহন পুজো ঘিরে উদ্দীপনা
এবার তারই সেজ ছেলে আব্দুল রহিম ( ভুলু ) মানুষের কাছে ভগবান বলে পরিচিত।বিশ্বকর্মা ঠাকুর করে দেওয়া থেকে পূজার সরঞ্জাম নিজে ব্যবস্থা করা সবটাই তারই পরিকল্পনা।তিন বছর ধরে চলছে ভেপকোতে বিশ্বকর্মা পূজা।দুদিনব্যাপি বলবে পূজা।
পূজা ঘিরে খাওয়া দাওয়ার আসর রয়েছে দুদিন ধরে।এদিন উপপ্রধান আব্দুল রহিম মোল্লা বলেন শব্দদূষন পরিত্যাগ করে চলছে পূজা। কারন মাইক নেই তাদের পুজাতে।শিল্প দেবতা বিশ্বকর্মা হলেও এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এমন উদ্যোগ।
এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ট্রান্সপোটার উৎপল মন্ডল,ঘুশেশ্বর মন্ডল,টুলু সামন্ত।ছিলেন ভেপকোর অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার শান্তনু দে। রাজারহাট এলাকায় ছোট বড় মিলিয়ে কুড়ি থেকে বাইশটি বিশ্বকর্মা ঠাকুর হয়।যেখানে বাদ্য যন্ত্র মাইকে অন্য পরিবেশে পূজা হলেও। ভেপকোর শব্দ দূষণ বিরোধী পূজায় মন কেরেছে এলাকার প্রবীন থেকে নবীন মানুষদের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584