পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
ফাণ্ডের অপ্রতুলতার জন্য ফেব্রুয়ারী মাসের মাইনা দেরীতে পাবেন বিশ্বভারতীর অধ্যাপক, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা! এব্যাপারে ২৪ ফেব্রুয়ারী সোমবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসচিব। এই ঘটনার পর বিশ্বভারতীর বিভিন্ন মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন আধিকারিক জানান, বিশ্বভারতীতে ইউজিসি যে ফাণ্ড পাঠায়। তাতে বরাবর কম টাকা আসে।
অন্য ফাণ্ড থেকে টাকা নিয়ে এই সমস্যা মেটানো হত। পরে টাকা এলেই, সেই ফাণ্ডে টাকা ফেরত দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হত। আরেক আধিকারিক বলেন, আগে তো দেখেছি, অ্যাকাউন্টসের লোকজন আগেই এম এইচ আরডি চলে যেতেন।
এক অধ্যাপক বলেন, আমার তো মনে হয়, শিক্ষকদের জব্দ করতেই এই দাওয়ায় দিলেন। ২০১৯ সালে ভোট অন অ্যাকাউন্টসে পূর্ণাঙ্গ বাজেটের আগে একটা সমস্যা হয়েছিল সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে।
এখন তো সেই সমস্যা নেই। উনি ভাষা দিবসের বক্তৃতায় বললেন বিশ্বভারতী ভেন্টিলেশনে আছে। আসলে তিনি বলতে চেয়েছিলেন আর্থিক ব্যপারটা। ওই গৌরচন্দ্রিকার পর এই বিজ্ঞপ্তি জারি। কি এমন ঘটল যে এই অবস্থা।
আরও পড়ুনঃ কোচবিহার পুর কাউন্সিলার চন্দনা মহন্ত দলেই রয়েছে, ঘোষণা ফরওয়ার্ড ব্লকের
আরেক অধ্যাপক বলেন, বরাবর মাসের শেষ তারিখে মাইনা পাওয়া যেত। শুধু মার্চের মাইনা ৪ তারিখে হয়েছে, না হলে ১৩ মাসের মাইনে হয়ে যাবে। এ যাবত এমন পরিস্থিতি হয়নি। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, কেন্দ্রের সঙ্গে এত ভালো সম্পর্ক, মিঃ মোদীর সঙ্গে ছবি। তাহলে ফাণ্ড কোথায়? কোন এরিয়ারের গল্প নেই। এখন আবার মাইনায় কোপ!
এব্যাপারে বিশ্বভারতীর জন সংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার বলেন, বিশ্বভারতীর এম এইচ আর ডি ইউজিসি প্রতিমাসে স্যালারির যে ফাণ্ড পাঠায়, সেই অ্যাকাউন্টে কোন হেডে পর্যাপ্ত পরিমানে টাকা আসে নি। তাই জন্য এইমাসে সময় মত মাইনা হবে না। সেই উদ্দেশ্যে উপাচার্য গেছেন এম এইচ আর ডিতে ফাণ্ডের জন্য, যাতে সুষ্ঠভাবে মাইনা দিতে পারা যায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584