পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
শনিবার বিকেলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সাংবাদিক বৈঠক করে জানায় নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর জায়গা জোর করে দখল করে রেখেছেন। অমর্ত্য সেনের অধিগৃহীত জায়গা রাজ্যের ভূমি ও ভূমিসংস্কার দফতর দিয়ে মাপজোক করাতে চায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বভারতীর কর্মসচিব অশোক মাহাতো বলেন, অধিগ্রহণ করে আছে এমন মানুষের তালিকায় অমর্ত্য সেনের নাম রয়েছে বিশ্বভারতীর কাছে। প্রয়োজনে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি, অমর্ত্য সেনের প্রতিনিধি এবং বিশ্বভারতীর প্রতিনিধি নিয়ে রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের সাহায্য নিয়ে অমর্ত্য সেনের বাড়ির জমি পরিমাপ করে দেখা হবে।
আরও পড়ুনঃ প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র সচিবকে বদলি করা হল কম গুরুত্বপূর্ণ পদে
বিশ্বভারতীর তরফে অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ আনার পর এই মুখ খুলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূম সফরে এসে বলেছিলেন, “নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন ওই বাড়িতে গত ৮০ বছর ধরে আছেন, অমর্ত্য সেনের বাবাকে ওই জমিটি দেওয়া হয়েছিল বিশ্বভারতীর তরফে। তার পক্ষে জানা সম্ভব নয় আদৌও জমি নিয়ে কোনো সমস্যা আছে কি না।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক প্রকল্পের সমালোচনা করেছেন বলেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য হেনস্তা করছে অমর্ত্য সেন কে। যেভাবে অমর্ত্য বাবু কে জমি চোর আখ্যা দিয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, তা মানুষ কখনো মেনে নেবে না।”
আরও পড়ুনঃ পণ ভেঙে দলের সভায় যোগ দিলেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর
বিশ্বভারতীর প্রবীণ আশ্রমিক সুবোধ মিত্র জানিয়েছেন, সীমাহীন নোংরামি করছে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিশ্বভারতীর মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের চেয়ারে বসে বিদ্যুৎ বাবু যে প্রতিহিংসার খেলায় মেতে উঠেছে তা দেখে আমরা আতঙ্কিত।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584