মনিরুল হক,কোচবিহারঃ

হাতে আর মাত্র কয়েকদিন।বিরোধী দলগুলিকে পেছনে ফেলে প্রচারে অনেকটাই এগিয়ে গেছে তৃনমূল কংগ্রেস।নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশের ৪৮ ঘন্টা পরেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে রাজ্যের শাসক দল তৃনমূল কংগ্রেস।প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরই গোটা রাজ্যে জোর প্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃনমূল।তেমনি কোচবিহার জেলাতেও দলীয় প্রার্থী পরেশ চন্দ্র অধিকারীর সমর্থনে জোর প্রচার শুরু করে দিয়েছে জেলা তৃনমূল নেতৃত্ব।

আর দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে ভোট যুদ্ধের সেনাপতি হয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন রাজ্যের গুরুত্বপুর্ণ দপ্তরের মন্ত্রী তথা কোচবিহার জেলা তৃনমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।পরেশ বাবুকে জেতাতে কার্যত চষে বেড়াচ্ছেন রবিবাবু। ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন জায়গায় সভাও করেছেন দলীয় প্রার্থী পরেশ চন্দ্র অধিকারী ও মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।আজ তৃণমূলের প্রার্থী পরেশচন্দ্র অধিকারী সমর্থনে কোচবিহারের পুন্ডিবাড়ি,পাতলাখাওয়া,টাকাগাছ রাজারহাট, ঢাংঢিংগুড়ি অঞ্চলে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে সভা অনুষ্ঠিত হয়।এদিনের ওই তিনটি সভায় উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ,তৃণমূলের প্রার্থী পরেশ চন্দ্র অধিকারী,কোচবিহার জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল জলিল আহমেদ, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা নেত্রী কল্যানী পোদ্দার, কোচবিহার জেলা পরিষদের সদস্য পরিমল বর্মন সহ আরও অনেকে।
এদিন সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃনমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল। মানুষের মধ্যে বিভাজনের রাজনীতি তৈরি করার চেষ্টা করছে।” তিনি আরও বলেন,এবারের নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করবো। জিএসটি ৫ থেকে ২৮ শতাংশ বসিয়ে দিয়েছে মোদী সরকার। শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও আজ পর্যন্ত কিছু করতে পারেনি এই মোদী সরকার। এখানে কোথাও বিজেপির অস্তিত নেই। বিজেপির কোনও সংগঠন নাই। যারা পঞ্চায়েত সমিতির,জেলা পরিষদের প্রার্থী দিতে পারেনি তাঁরা আবার লোকসভায় প্রার্থী দেবে। এরা হলো বসন্তের কোকিল। যখন ভোট আসে তখন কুহু কুহু করে আসে। বন্যা, খরা হয় তখন এদের দেখা পাওয়া যায় না বলে তিনি জানান।

অপরদিকে শুধু তৃনমূল কংগ্রেসই নয়।ভোট প্রচারে এগিয়ে রয়েছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। এদিন বাম প্রার্থী গোবিন্দ রায় মাথাভাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় প্রচার শুরু করেন। পাশপাশি কংগ্রেস প্রার্থী পিয়া রায় চৌধুরী মাথাভাঙ্গা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভোট প্রচার সারেন। যদিও রাজনৈতিক মহলের অনুমান,এই তিন রাজনৈতিক দল প্রচারে এগিয়ে থাকলেও প্রচারে কিছুটা হলেও পিছিয়ে রয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি।
আরও পড়ুনঃ কোচবিহারে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে প্রচার সারলেন দিলীপ
যদিও বিজেপি নেতৃত্বের দাবী এখানে এগিয়ে কিংবা পিছিয়ে থাকার কিছু নেই।আগামী ১১ তারিখ জনগণ ভোট বাক্সে তার উত্তর দিয়ে দেবে।আর সেই উত্তর জানার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে ২৩ মে পর্যন্ত।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584