নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
কথায় আছে সিঁদুরে মেঘ দেখলেই গৃহস্থ ভয় পায়। সেরকম আকাশে মেঘ দেখলেই বুক কাঁপে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট থানার পতিরাম এলাকার বাসিন্দাদের। হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতেই পতিরাম বাজার, কদমতলি, চৌরংগী মোড় চলে যায় জলের তলায়।
আর ভারী বৃষ্টি হলে তো দুর্ভোগের শেষ থাকেনা পতিরাম এলাকার বাসিন্দাদের। অথচ এই পতিরাম এলাকায় রয়েছে কয়েক হাজার মানুষের বাস। সরকারি অফিস, ব্যাংক থেকে পুলিশ ফাঁড়ি, সিনেমা হল, বাজার, দুটি বাস স্ট্যান্ড, এছাড়াও রয়েছে দুটি হাইস্কুল ও একটি কলেজ। তাছাড়াও পতিরাম ঘেঁষেই চলে গিয়েছে জাতীয় সড়ক। বিএসএফ -এর দু’দুটি সদর অফিস সহ আবাসিক স্থল।
আরও পড়ুনঃ কৃষি বিলের প্রতিবাদে পিংলায় অবস্থান বিক্ষোভ তৃণমূলের
এতসব সুযোগ সুবিধে থাকা সত্ত্বেও নিকাশি নিয়ে হাল ফেরে না পতিরামের বাসিন্দাদের। অল্প বৃষ্টিতে রাস্তাতে এক হাঁটু জল। ওই জলকাদা পেরিয়েই দোকান, বাজার, অফিস স্কুল কলেজ যাতায়াত করা যেন পতিরামবাসির ভবিতব্য হয়ে উঠেছে। অথচ দেশটা এখন নাকি ডিজিটাল।
আরও পড়ুনঃ কৃষি বিলের প্রতিবাদে কোচবিহারে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ ছাত্র পরিষদের
হাত বাড়ালেই আধুনিক সব ব্যবস্থা হাতের মুঠোয়। তবু ডিজিটালের ডিজি কে সরিয়ে দিলে যা থাকে ভেঙে পড়া ও দুর্বল নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে সেই টাল – মাটাল অবস্থায় এখন পতিরাম। তাই পতিরামের আকাশে মেঘ দেখলেই ভয়ে বুক কাঁপে পতিরাম বাসিন্দাদের। এবার বোধহয় রাস্তার জল আর নর্দমার জল মিলেমিশে না ঘরে ঢুকে সব কিছু ভাসিয়ে দেয়। অথচ বার বার স্থানীয় পঞ্চায়েতে দরবার করলেও হাল ফেরে না পতিরামের বাসিন্দাদের।
তাই এবার জলবন্দি থেকে মুক্তি পেতে হাইড্রেনের দাবিতে সরব হল পতিরাম নাগরিক ও যুব সমাজ মঞ্চ। পতিরামের জল নিকাশি ব্যবস্থা উন্নত করতে (পতিরামের সমস্ত গ্রামেই হাই ড্রেন নির্মাণ করে তা নদীর সাথে সংযোগ করতে হবে এই দাবিতে) একটা বড় মাস্টার প্ল্যানের আবেদন করা হল পতিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতে।
সেই আবেদন পত্র কপি ফরোয়ার্ডেড্ করা হল–
জেলা শাসক অফিস ও সভাধিপতির নিকট, এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার(পিডব্লুডি), অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, এসডিও অফিস, বিডিও অফিসে। এখন দেখার এত সবের পর পতিরামবাসির আবেদনে সাড়া দিয়ে জেলা প্রশাসন কবে এগিয়ে আসে!
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584