নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে গৃহবন্দি হয়েছেন প্রায় সকলেই। আর এরই সুযোগ নিচ্ছে চোরাশিকারীরা। সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলেছে, গোটা দেশে অবৈধ প্রাণীহত্যা প্রায় ১৫১ শতাংশ বেড়েছে। এই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে চোরাশিকার রুখতে বিশেষ উদ্যোগ নিল বন দফতর।
চোরা-শিকারীদের জব্দ করতে বিশেষ প্রশিক্ষিত দুই ‘শিকারী’ মোতায়েন করল দফতর। উত্তরবঙ্গের গরুমারা অভয়ারণ্য এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সাউথ ডিভিশনে চোরাশিকার রুখতে এবং কাঠপাচার বন্ধ করতে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র থেকে নিয়ে আসা হল বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত দুটি কুকুর। একজন বেলজিয়ান মালিনয়িস আর একজন জার্মান শেপার্ড।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওরল্যান্ডো আর শ্যানাকে শনিবার কলকাতায় আনা হয়েছে। ওই দুটি কুকুরকে ন’মাস প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে গোয়ালিয়রে। একজনকে মোতায়েন করা হবে সুন্দরবনে, অন্য জনকে গরুমারা জঙ্গলে। ওই দুটি কুকুরকে উপযুক্তভাবে ব্যবহার করার জন্য চার জন দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মীকে পাঠানো হয়েছে। এক একটি কুকুরের সঙ্গে দু’জন করে কর্মী থাকবেন।
আরও পড়ুনঃ নবান্নের সভাঘরে বুধবার সর্বদলীয় বৈঠক
বন দফতর সূত্রে খবর, ২০ জুন তাঁদের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ায় পর সল্টলেকের ডিয়ার পার্কে তাঁদের নিয়ে আসা হয়। এরপর এই দুটি কুকুরকে প্রশিক্ষকদের সঙ্গে তাদের গন্তব্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আরও দুই সারমেয় গোয়ালিয়রে প্রশিক্ষণ শেষ করবে ৩০ জুন। তারপর তাদেরও নিয়ে আসা হবে রাজ্যের বন দফতরের সেবায়।
এই চার জন সারমেয় মিলিয়ে রাজ্য ডগ স্কোয়াডে মোট ন’জন সদস্য। ২০১৭ সালে চার জন সদস্য নিয়ে ডগস্কোয়াড শুরু করে বন দফতর। পরের বছর আরও একজন যোগ দেয়। বন্যপ্রাণ রক্ষায় এই পাঁচজনের ভূমিকা অপরিসীম। এদিন জানান এক বনকর্তা। চোরাশিকারীদের ঘাঁটির খোঁজ ঘ্রাণ শুঁকে বার করতে দক্ষ এই সারমেয়রা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584