নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
রাজ্যপালের নিশানায় এবার রাজ্যের নিরাপত্তা উপেদষ্টা সুরজিৎ করপুরকায়স্থ,নাম না করে ধনকড় প্রশ্ন তুলেছেন অবসরপ্রাপ্ত ডিজি কীভাবে এই পদ পেলেন!
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে এ রাজ্যের প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। দিল্লিতে শাহের সঙ্গে বৈঠক করে রাজ্যপাল বিস্তর অভিযোগ করেছেন সরকারের বিরুদ্ধে।
West Bengal Governor Shri Jagdeep Dhankhar called on the Union Home Minister Shri Amit Shah today at his residence.
Governor Dhankhar was with the Union Home Minster for over an hour and state of affairs and affairs of state in West Bengal were traversed.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) October 29, 2020
বাংলায় আল-কায়দা জাল বিস্তার করছে, বোমা তৈরির কারখানা হু হু করে বাড়ছে বলে অভিযোগ করেন ধনকড়। প্রশাসনিক আমলাদের তৃণমূল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে বলেও রাজ্যপাল সরব হন সাংবাদিক বৈঠকে। এদিন তিনি নাম না করে রাজ্যের নিরাপত্তা উপেদষ্টা সুরজিৎ করপুরকায়স্থকে নিশানা করেন, অবসরপ্রাপ্ত ডিজি কীভাবে এই পদ পেলেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ধনকড়।
আরও পড়ুনঃ নভেম্বরে না জানুয়ারিতে হবে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, টুইট মুখ্যমন্ত্রীর
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হয়েছে, রাজনৈতিক হিংসা বেড়েছে, জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে ইত্যাদি একাধিক বিষয়ে অভিযোগ তুলেছেন ধনকড়। অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর দিল্লিতেই সাংবাদিক সম্মেলন করে ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যপাল। তাঁর অভিযোগ রাজ্যে একজন নিরাপত্তা উপদেষ্টা আছেন।
যিনি অবসরপ্রাপ্ত ডিজি, শুধু রাজনৈতিক কাজে যুক্ত থাকাই তাঁর দায়িত্ব? এছাড়াও রাজ্যের আইপিএস এবং আইএএসদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আলোচনা করার জন্য বারবার চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। কিন্তু কেউ তাতে সাড়া দেননি বলে অভিযোগ রাজ্যপালের।
আরও পড়ুনঃ দিলীপ ঘনিষ্ঠ সুব্রতকে সরিয়ে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদে অমিতাভ
এগুলি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে এনেও কোনও লাভ হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। বর্তমান ডিজিপি বীরেন্দ্র সম্পর্কেও নাম না করে, বিস্তর অভিযোগ করেন রাজ্যপাল।
এরপর, ৩০ অক্টোবর কলকাতায় ফিরেই দার্জিলিং যাবেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, দার্জিলিংয়ে রাজ্যপালের সরকারি বাসভবনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে রাজ্যপাল এক মাস সেখানে থাকবেন। কেন ধনকড় এক মাস সেখানে থাকবেন তা অবশ্য রাজভবনের তরফে জানানো হয়নি; সম্ভবত নভেম্বরে পাহাড়ে ফিরতে পারেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং।
আবার নভেম্বরেই নবান্নর কায়দায় উত্তরকন্যা অভিযান রয়েছে বিজেপির। সেই কর্মসূচির জন্য বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতারা তখন উত্তরবঙ্গে থাকবেন। সম্ভবত সেই কারণে এবং পাহাড়ের রাজনীতির উপর নজর রাখার জন্য নভেম্বর মাসে উত্তরবঙ্গে পাঠানো হচ্ছে রাজ্যপালকে, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584