করোনার তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে শিশুদের জন্য ১০,০০০ বেড প্রস্তুত রাখছে রাজ্য সরকার

0
62

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আগাম প্রস্তুতি নিতে শুরু করল রাজ্য সরকার। যদিও দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুতেই চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন যে, অতিমারির তৃতীয় ঢেউয়ে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে শিশুদের ওপর। তাই আগে থেকেই পরিস্থিতি সামাল দিতে শিশু ও মায়েদের জন্য প্রায় ১০ হাজার জেনারেল শয্যা প্রস্তুত করতে শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর।

Covid third wave | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

স্বাস্থ্য দফতরের জারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, জুলাই থেকে আগস্টের মধ্যে যেন করোনা চিকিৎসার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, চাইল্ড ওয়ার্ড এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ারের প্রস্তুতি শেষ হয়। কেননা এসআইআর -এ বলা হয়েছিল, অগস্টেই আছড়ে পড়বে করোনার তৃতীয় ঢেউ। সেপ্টেম্বরে যার প্রভাব সবথেকে বেশি লক্ষ্য করা যাবে। তাই এবার তৎপরতার সহিত তৈরি থাকছে চাইছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই প্রতিটি জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামো ও সচেতনতার প্রচারের ওপর জোর দিতে।

নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ৩ মাস থেকে ১২ বছর বয়সী মৃদু এবং মাঝারি উপসর্গ যুক্ত শিশুদের তাদের মায়েদের সাথে মহিলা ওয়ার্ডে রাখা হবে আর তার জন্য ১০ হাজার কোভিড শয্যা প্রস্তুত করা হবে। এছাড়া ১ থেকে ৯০ দিনের সদ্যোজাতদের জন্য বরাদ্দ প্রায় ৩৫০টি এসএনসিইউ শয্যা। অপরদিকে গুরুতর অসুস্থ শিশুদের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুত রাখা হবে ১৩০০টি পিকু বেডের। রাজ্যের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পিকু বেডের পরিকাঠামো তৈরি রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। রাখতে হবে ২৪ ঘণ্টার টেলি কনসালটেশন ব্যবস্থাও। এছাড়া আক্রান্ত শিশুদের পিকু পরিষেবায় প্রাপ্তবয়স্কদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত যে ১৩০০ সিসিইউ, এইচডিইউ রয়েছে তা যাতে ব্যবহার করা যায় সেই প্রস্তুতিও রাখতে নির্দেশ রাজ্য সরকারের।

আরও পড়ুনঃ খুলছে শপিংমল, রাজ্যে ১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ল বিধিনিষেধের সময়সীমা

কিন্তু কি এই পিকু বেড? প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য যেমন রয়েছে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, তেমনি শিশুদের একটি অত্যাধুনিক এক ইউনিট হল পিকু। যেখানে শিশুদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত উন্নতমানের চিকিৎসা সরঞ্জামসমূহ থাকবে। তৃতীয় ঢেউ রুখতে এই চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপরই জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।

আরও পড়ুনঃ রাজ্যে দৈনিক সংক্রমন নিম্নমুখী, মৃত ৭৮, সুস্থ ২ হাজার ১৭১

উল্লেখ্য, প্রত্যেক জেলায় শিশুদের চিকিৎসার জন্য আশা কর্মী ও নার্সদের ট্রেনিং দেওয়া শুরু করা হবে। কলকাতার ১০টি হাসপাতালে তৈরি করা হচ্ছে ২৪০ টি পিকু বেড। উত্তর ২৪ পরগনার ১২টি হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ শিশুদের জন্য বরাদ্দ ১৩৫ টি শয্যা। এছাড়া রাজ্যের ৯১টি হাসপাতালে পিকু পরিষেবার প্রস্তুতি চলছে। করোনা আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য রাজ্যের মোট ৭০টি হাসপাতালে শয্যা বাড়ানো হচ্ছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here