নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
রাজ্যে কোভিড চিকিৎসায় নতুন করে বিতর্ক তৈরির ফলে সিদ্ধান্ত বদল স্বাস্থ্য ভবনের। স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত প্রোটোকলে কোভিডের চিকিৎসার জন্য প্রাথমিকভাবে মোলনুপিরাভির ও মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপিতে অনুমোদন দেওয়া হলেও তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হল।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের কোভিড চিকিৎসার প্রটোকলে ৩১ জানুয়ারি অনুমোদন পায় মোলনুপিরাভির ও মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি। এরপর সোমবার গভীর রাতে বিবৃতি দিয়ে স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানান, মোলনুপিরাভির এবং মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি নিয়ে যেহেতু কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়নি তাই এই দুটি পদ্ধতি কোভিড চিকিৎসা প্রোটোকল থেকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
রাজ্যের চিকিৎসা প্রোটোকলে এই দুই পদ্ধতি না থাকা সত্বেও বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের মোলনুপিরাভির বা মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি কিভাবে দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন চিকিৎসকদের একাংশ। বিশেষত উডল্যান্ডস হাসপাতালে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে অ্যান্টিবডি থেরাপি দেওয়ার পরে প্রশ্নটি জোরদার হয়। সেসময় বিতর্ক এড়াতেই প্রোটোকলে এই দুই ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতিকে অনুমোদন দেওয়া হয় বলে মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা পুরসভা এলাকায় ২৫টি কন্টেনমেন্ট জোন জানালেন মেয়র, মঙ্গলবার থেকে চালু সেফ হোম
প্রটোকল থেকে প্রত্যাহার করা হলেও এই নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। স্বাস্থ্য দফতরের প্রোটোকলে বলা হয়েছে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ওমিক্রনে খুব একটা কার্যকর নয়। যদি কার্যকর না-ই হয় তাহলে তা নির্দেশিকায় দেওয়া হল কেন? এছাড়াও মোলনুপিরাভির এখনও বাজারে আসেনি। যে ওষুধ বাজারে নেই তা কেন প্রোটোকলে? সর্বোপরি সারা দেশে কোথাও এই দুটি পদ্ধতিকে কোভিড চিকিৎসার প্রটোকলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, এমনকি এনিয়ে ICMR-এর কোন নির্দেশিকাও নেই। সব মিলিয়ে এই পদ্ধতিগুলিকে প্রটোকলে কেন রাজ্য সরকার রেখেছিল তা নিয়ে বিভিন্ন মহলেই উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুনঃ ত্রিপুরা-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘেরা হবে, জানাল বিএসএফের এক কর্মকর্তা
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584