উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে চিকিৎসক নিয়োগের বিষয়টি হোক দুর্নীতিমুক্ত। মেডিক্যল কলেজগুলিতে স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত ও স্বজনপোষণহীনভাবে ডাক্তারদের নিয়োগ করা হোক। ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে (এইচআরবি) এবার এমনই দাবি জানাল রাজ্যের সরকারি ডাক্তারদের সংগঠন- অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গল। দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগের লক্ষ্যে সোমবার এইচআরবি-র চেয়ারম্যানের কাছে বিভিন্ন দাবি পেশ করেছে ডাক্তারদের সংগঠন ৷
সরকারি চিকিৎসকদের সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ডাক্তারদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দেখা গিয়েছে, এমডি বা এমএসের ডিগ্রি রয়েছে এমন প্রার্থীদের বাদ দিয়ে শুধুমাত্র এমবিবিএস-এর ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ সিরাজের
এমন-ও দেখা গিয়েছে, ইন্টারভিউতে অনেক কম নম্বর পেয়েছেন যোগ্য প্রার্থী। অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গলের সাধারণ সম্পাদক চিকিৎসক মানস গুমটা বলেন, “মেডিকেল কলেজগুলিতে আরএমও পদে প্রায় ন’শো জন ডাক্তারকে নিয়োগ করা হবে। এর জন্য কয়েক হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে। আমরা চাই, এই নিয়োগ হোক স্বচ্ছ, স্বজনপোষণহীন। সাধারণ মানুষের স্বার্থে দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ কাম্যি।”
কীভাবে স্বচ্ছ এবং স্বজনপোষণহীনভাবে নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে তার জন্য সোমবার এইচআরবি-র চেয়ারম্যানের কাছে বিভিন্ন দাবি পেশ করেছে সরকারি চিকিৎসকদের এই সংগঠন। এইসব দাবির মধ্যে রয়েছে-অবসরপ্রাপ্ত কোনও অধ্যাপক যিনি বর্তমানে কোনও সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে যুক্ত নন, এমনকারও মাধ্যমে প্রার্থীদের ইন্টারভিউ নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ হার্মাদ মুক্ত দিবস বর্ষপূর্তিতে পথসভায় শুভেন্দু অধিকারী
ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রতিটি সাবজেক্টের জন্য দু’জন করে বিশেষজ্ঞকে রাখতে হবে। প্রার্থীদের বায়োডাটার উপর নির্ভর করে যে স্কোর তৈরি করা হবে, তা ইন্টারভিউয়ের আগে প্রকাশ করতে হবে। ইন্টারভিউতে কোন প্রার্থীকে কত নম্বর দেওয়া হল, তা পেন্সিলে লিখে রাখা চলবে না, কালি দিয়ে লিখতে হবে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল এডুকেশন সার্ভিসে স্বচ্ছ ও স্বজনপোষণহীন ভাবে চিকিৎসকদের নিয়োগের লক্ষ্যে সরকারি চিকিৎসকদের এই সংগঠনের এমন বিভিন্ন দাবি এইচআরবি ‘র চেয়ারম্যানের পাশাপাশি রাজ্যেবর স্বাস্থ্য দপ্তরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছেও পেশ করা হয়েছে। এবিষয়ে এআইএম-এর চেয়ারম্যান ও রাজ্যসভার সদস্য ডাক্তার শান্তনু সেনের কাছে প্রতিক্রিয়া চেয়ে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584