বন্ধ তাঁতের হাট, আর্থিক সংকটে তাঁতিরা

0
69

শ্যামল রায়, কালনাঃ

লকডাউন চলাকালীন সকলেই গৃহবন্দি। বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না, কিন্তু ঘরের মধ্যে থেকে তাঁত বুনছেন কালনা কাটোয়া মহকুমা জুড়ে বহু তাঁতিরা।শুক্রবার দেখা গেল কালনা কাটোয়া মহকুমা জুড়ে বহু পাওয়ারলুম বন্ধ। একমাত্র হ্যান্ডলুমের যারা কাজ করেন তারা বাড়িতে থেকে তাঁতের কাজ করছেন। কিন্তু তাঁতের শাড়ি বিক্রি নেই। হাট বন্ধ, বাইরে থেকে মহাজনরা তাঁতের শাড়ি কিনতে আর গ্রামে আসছেনা।

people |newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

তাই তাঁতিরা পড়েছেন মহা সমস্যার মধ্যে। কালনা কাটোয়া মহকুমা জুড়ে লক্ষাধিক তাঁতিরা বসবাস করে, এর উপর ভিত্তি করেই সংসার চালান। তাঁত শিল্পীরা তাঁত কাপড়ের হাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। তাই বাধ্য হয়ে অর্থের কারণে বহু তাঁতি দামি শাড়ি কম পয়সায় বিক্রি করে দিচ্ছেন বহু মহাজনের কাছে। অর্থাৎ মহাজন এর খপ্পরে পড়েছেন তাঁত শিল্পীরা। জানা গিয়েছে যে তাঁত বলয় হিসেবে সুপরিচিতি কালনা কাটোয়া মহকুমা।শুধুমাত্র ধাত্রীগ্রাম শ্রীরামপুর গ্রামে কয়েক হাজার তাঁতি বসবাস করে থাকেন।

people |newsfront.co
স্থানীয় তাঁতি। নিজস্ব চিত্র

সমুদ্রগড় গণেশচন্দ্র তাঁত হাটের অন্যতম সম্পাদক সুবীর কর্মকার জানিয়েছেন যে লকডাউন অবশ্যই প্রয়োজন কিন্তু এই এলাকার রুজি রোজগার বলতে তাঁত শিল্পই রয়েছে। তাই লকডাউনের জন্য তাঁতের হাট বন্ধ করে দিয়েছে অনেকেই। কিন্তু তাঁতের শাড়ি বিক্রি হচ্ছে খুব কম দামে, হাটের বাইরে থেকে। যাদের পুঁজি আছে তারা শাড়ি তৈরি করে ঘরে রেখে দিচ্ছেন। কিন্তু অধিকাংশ তাঁতিরা কম দামে শাড়ি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। লকডাউনে বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ কিন্তু ঘরের মধ্যেই তাঁতের কাজ করছেন অনেকে।তাঁত শিল্পীদের দুঃসময়ের কারণে অনেক মহাজন কম টাকা দিয়ে তাঁতের শাড়ি কিনছেন।

আরও পড়ুনঃ চন্দ্রকোনা ১নং ব্লকের কৃষ্ণপুর বাজার বন্ধ করল পুলিশ

এদিন অনেকেই বলেছেন লকডাউন না উঠলে তাঁত শিল্পীদের অবস্থা আরো খারাপ হবে। তবে এই তাঁতিদের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই সমস্যা চরম আকার ধারণ করেছে তাঁত বলয় এলাকা ধাত্রীগ্রাম, সমুদ্রগড়, শ্রীরামপুর, কাটোয়ার পানুহাটে। তবে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন, যে করোনাভাইরাস অতি ভয়ঙ্কর, এর প্রতি আমাদের মান্যতা রয়েছে কিন্তু সমস্যা বুঝতে পারছি। তবে মহাজন, অসাধু ব্যবসায়ী কারবার আমরা বরদাস্থ করবো না। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে কিনা আমরা ভাবছি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here