মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
একদিকে সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার জন্য লকডাউনের কড়া নির্দেশিকা, অন্যদিকে পাত্রীর মায়ের অসুস্থতা। মেয়ের বিয়েটা দ্রুত সেরে ফেলার প্রবল ইচ্ছে তার। এই দুয়ের টানাপোড়েনে শেষ পর্যন্ত বিয়ের আয়োজন করা হল। তবে সামাজিক দূরত্বের কথা পুরোপুরি মাথায় রেখে।
রীতিমত মাস্ক পরে পাত্র-পাত্রী এমনকি পুরোহিতও নিজেদের দূরত্ব বজায় রেখেই মন্ত্র উচ্চারণ করলেন। সামান্য আমন্ত্রিত, তারাও নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বাজায় রেখেই রক্ষা করলেন নিমন্ত্রণ। গতকাল ওই বিয়ের অনুষ্ঠান হয় নাজিরহাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শালমারা গ্রামে পাত্রীর বাড়িতে। ওই বিয়েতে পাত্র ছিলেন বুড়িরহাট ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা।
পাত্র প্রীতম ঘোষ বলেন, “করোনা ভাইরাসের জন্য লকডাউন চলছে। এখন কোন সামাজিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। তাই কনে দেখা পর্ব মিটে যাওয়ার পরেও অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু আচমকা আমার শাশুড়ি মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর তার জেদেই শেষ পর্যন্ত বিয়ের অনুষ্ঠানটা করতে হল। কিন্তু সব নিয়ম মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, মুখে মাস্ক পরে তবেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছি।”
আরও পড়ুনঃ কৃষকদের কাছ থেকে সবজি কিনে দুঃস্থদের সাহায্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার
পাত্রী শুক্লা দেবী জানান, মায়ের আচমকা অসুস্থ হয়ে পরার ঘটনা না ঘটলে হয়ত লকডাউন উঠলেই বিয়ের অনুষ্ঠান হত। কিন্তু কি করবো বলুন! সব দিক বজায় রাখা তো আর সম্ভব নয়।”
তবে বিয়ের অনুষ্ঠান খুব ভালোভাবেই মিটে গিয়েছে। এমন ভাবে সামাজিক দূরত্ব ও মুখে মাস্ক বেঁধে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে, যে তা দেখে খুশি এলাকার বাসিন্দারাও। অনেকেই বলেন, এটা গ্রামাঞ্চল। এমনিতেই এখানে খুব কম মানুষের বসবাস। তারমধ্যে অল্প কয়েকজনকে নিয়ে অনুষ্ঠান হয়েছে। এতে খারাপ কিছু হওয়ার আশঙ্কা নেই।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584