কোভিড রোগী ভর্তি নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি রাজ্যের

0
80

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

করোনার সুযোগে রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলি ইচ্ছামত রোগীদের ভর্তির জন্য টাকা দাবি করছে। এমনকি প্রাথমিক ভাবে টাকা দেওয়া না হলে চিকিৎসা শুরু করা হচ্ছে না এমন অভিযোগও উঠছে। এর ফলে হয়রানি বাড়ছে সাধারণ মানুষের। সেই কারণে এবার হাসপাতালে করা রোগী ভর্তি নিয়ে নির্দিষ্ট একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার।

health department | newsfront.co
ফাইল চিত্র

রাজ্যের তরফে ঘোষিত ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড রোগী ভর্তির সময়ে ৫০ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না। ভর্তির সময় টাকা না দিতে পারলেও পরিষেবা দিতে হবে টানা ১২ ঘন্টা। ভর্তির সময় রোগীর পরিবার টাকা দিতে না পারলেও রোগীকে ভর্তি নিতে হবে।

ওই ১২ ঘণ্টা পর যদি রোগীর পরিবার টাকা না দিতে পারে, তাহলে আরও ১ ঘণ্টা পর ওই রোগীকে ছেড়ে দিতে পারে হাসপাতাল। তবে টাকা না দেওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা টুকু আটকে রাখা যাবে না। হাসপাতালের বিল পেমেন্ট সবসময় চেক বা অনলাইন পেমেন্টে নিতে হবে। রোগীর পরিবারের একান্তই অসুবিধা থাকলে তবেই নগদ টাকা নেওয়া যেতে পারে, না হলে নয়। রোগীর পরিবারের সুবিধাকে সব সময় প্রাধান্য দিতে হবে।

notice | newsfront.co

নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে, ভর্তির সময় রোগীর পরিবারকে সম্ভাব্য বিলের একটা আন্দাজ তখনই জানাতেই হবে হাসপাতালকে৷ তবে চিকিৎসা শুরুর আগে সম্ভাব্য খরচের শুধু ২০ শতাংশ দাবি করতে পারবে হাসপাতাল।

আরও পড়ুনঃ আত্মনির্ভরতার পথে আরও এগোলো ভারত, ১০১টি প্রতিরক্ষা যন্ত্রাদির আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা

তবে তার মানে এই নয়, কোনও রোগীর চিকিৎসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা বিল হতে পারে, এটা রোগী ভর্তির সময় ধরে নিলে তখনই ১ লক্ষ টাকা জমা করতে হবে। যত টাকার বিল হোক না কেন, ভর্তির সময় নিতে হবে মাত্র ৫০ হাজার টাকা। তবে বিল যদি ২ লক্ষ টাকার হয়, তাহলে ভর্তির সময় ৪০ হাজার টাকা নেওয়া যেতে পারে। বাকিটা টাকা রোগীর পরিবারকে সুবিধামতো কয়েকদিনের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে।

ইদানীং দেখা যাচ্ছে, কোভিড রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির সময় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা শুরু করে প্যাকেজে ১২-১৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাবি করা হচ্ছে। এত টাকা নেওয়ার পেছনে যুক্তি দেখানো হচ্ছে, যেহেতু রোগীর পরিবার বারবার আসতে পারবেন না তাই ওই টাকা থেকে টাকা কেটে কেটে হিসেবে দেখিয়ে দেয়া হবে। এই জুলুমবাজি পদ্ধতি বন্ধ করতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন।

কারণ অনেক রোগীর পরিবারের অভিযোগ, ভর্তির সময় কত টাকা একসাথে জোগাড় করা অসম্ভব। তাছাড়া তাদের রোগীর ততটা চিকিৎসা হচ্ছে না যতটা হাসপাতালে বিলের পরিমাণ দেখানো হচ্ছে। হাসপাতালে বিলেও প্রচুর অস্বচ্ছতা বজায় থাকছে।

আরও পড়ুনঃ বালুরঘাটে ‘ভারত ছাড়ো’ দিবস উদযাপন

সেই কারণেই ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রত্যেকদিন রোগীর পরিবারকে বিলের পরিমাণ জানিয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে ৷ ২ হাজার টাকার বেশি দামী টেস্ট করাতে হলে অবশ্যই পরিবারকে জানিয়ে অনুমতি নিতে হবে।

কোনও পরীক্ষা একাধিকবার হলে, তাও লিখিত আকারে জানাতে হবে। কেন হচ্ছে, তার ব্যাখ্যাও দিতে হবে। কোন খাতে কী খরচ হচ্ছে, তা রোগীর পরিবারকে এসএমএস-এ বা হোয়াটসঅ্যাপে জানাতে হবে। এই সমস্ত নির্দেশাবলী না মানলে অভিযোগ পেলেই বা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে ওই সব হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে রাজ্য প্রশাসন, সে কথাও এই নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here