শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
রাজভবনের ওপর গোপনে নবান্নের তরফে নজরদারি চালানো হচ্ছে, এমন অভিযোগ কিছুদিন আগেই তুলেছিলেন রাজ্যপাল। এবার আর কোনও ট্যুইট নয়, রাজভবনের পাঁচ জন অফিসার-কর্মীকে ফিরিয়ে নিতে বলে সরাসরি নবান্নে চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। চার জন অফিসার পদের এবং এক জন জমাদার পদের করমীকে চিহ্নিত করে নাম পাঠিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিকল্প কর্মী-অফিসার পাঠাতে বলা হয়েছে নবান্নকে।
কাদের ওপর আর বিশ্বাস রাখতে পারছেন না রাজ্যপাল? নবান্নে আসা ওই চিঠি অনুযায়ী, এরা হলেন রাজ্যপালের প্রেস সচিব মানব বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজভবনের বিশেষ সচিব কুমারজীব চক্রবর্তী, পার্সোনাল সেক্রেটারি প্রশান্ত সরকার, হাউস কিপার মৌ মিত্র সরকার এবং জমাদার পার্থপ্রতিম ঘোষ। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ৫ জনকেই তাদের ‘পেরেন্ট ডিপার্টমেট’ অর্থাৎ তাঁরা সরকারের যে দফতর থেকে রাজভবনে কাজ করতে এসেছেন, সেখানে ফিরিয়ে নেওয়া হোক।
আরও পড়ুনঃ আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের শুনানি ৯ সেপ্টেম্বর
প্রসঙ্গত, মানব বন্দ্যোপাধ্যায়কে তথ্য সংস্কৃতি দফতর থেকে রাজভবনে নিয়োগ করা হয়েছিল। প্রশান্ত সরকারকে নিয়োগ করা হয়েছিল অর্থ দফতর থেকে। কিন্তু মৌ মিত্র সরকার ও পার্থপ্রতিম ঘোষ রাজভবনের কর্মী। তাই যদিও বা বাকিদের বদলি করা যায়, শেষের দুজনের কিভাবে বদলির সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
প্রসঙ্গত, রাজভবনের কর্মী থেকে নিরাপত্তা সমস্ত কিছু দায়িত্ব থাকে সরাসরি রাজ্য প্রশাসনেরই। এর আগে দায়িত্বপ্রাপ্ত কলকাতা পুলিশের ওপর অনাস্থা প্রকাশ করে পুলিশকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সিআইএসএফের নিরাপত্তা বলয় নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ বিধানসভার বাদল অধিবেশন থেকে বাদ প্রশ্নোত্তর পর্ব
নিয়মিত রাজ্য প্রশাসনের গাফিলতির দিকে ট্যুইট করে যান রাজ্যপাল। অন্যদিকে, রাজ্যপালের বিরুদ্ধেও মাঝেমধ্যেই রাজভবনের গোপন তথ্য সামনে এনে আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রীও। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যপালের সন্দেহ হয়েছিল, তার দফতরে নিযুক্ত কিছু কর্মী রাজভবনের গোপন তথ্য রাজ্য প্রশাসনকে দিচ্ছেন। এবার তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করে সরাসরি নবান্ন চিঠি পাঠালেন তিনি। যদিও এই নিয়ে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়ে নবান্নের তরফে কোনও কথা বলা হয়নি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584