হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের স্ক্রীনশটের সত্যতা নাকচ এবিভিপির, পাল্টা আঙুল ঐশীদের দিকে

0
95

নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ

গত রবিবার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের উপর ঘটে যাওয়া চরম নিন্দনীয় হামলার সম্মিলিত পূর্বপরিকল্পনার প্রমাণ ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়।

রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ‘ইউনিটি এগেইনস্ট লেফট’ নামের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মেসেজ থেকে চিহ্নিত করা যাচ্ছে যে এই পরিকল্পনায় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-র প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে। যদিও এই সূত্রের কথা অস্বীকার করে আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন।

whatsapp group chat screenshots revealed jnu truth | newsfront.co
বিতর্কিত সেই হোয়াটসঅ্যাপ স্ক্রীনশট। চিত্র সৌজন্যঃ দ্য কুইন্ট

জাতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ-এর স্ক্রীনশট ছড়িয়ে দেয় এই গ্রুপেরই এক আরএসএস সদস্য। জানা গেছে, মেসেজ প্রেরক, জেএনইউ-এর এবিভিপি ছাত্রনেতা যোগেন্দ্র ভরদ্বাজ।

স্ক্রীনশটে মেসেজগুলির পাশে ভরদ্বাজের নাম এবং ফোন নম্বর দেখা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তার নাম সংস্কৃত বিভাগের ‘অ্যাড-হক’ শিক্ষকের পদে নথিভুক্ত। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত শিক্ষার্থীদের অনেক ক্ষেত্রে স্নাতকস্তরের ক্লাস নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ হুন্ডাই-উবারের মিলিত প্রয়াসে আসছে ‘উড়ন্ত ট্যাক্সি

জেএনইউ-এর এবিভিপি-র সচিব, মণীশ জাঙ্গিদ জানিয়েছেন, এরকম হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে ঠিকই কিন্তু সেই গ্রুপে এবিভিপি-র কর্মী সমর্থকদের নাম বাম দলের সদস্যরা ইচ্ছে করে সংযুক্ত করেছেন, যাতে এবিভিপি-র কর্মীদের অভিযুক্ত হিসাবে প্রমাণ করা যায়। মণীশ বলেন, “আমাদের ফোন নম্বর সার্ভার থেকে সংগ্রহ করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অ্যাডমিন হিসাবে সংযুক্ত করা হয়েছে। আমাদের অগোচরে তা করা হয়েছে।”

অন্যদিকে রাহুল চৌধুরী, এবিভিপি-র ন্যাশনাল মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর জানান, “আজকাল যে কাউকে এই গ্রুপগুলোতে অ্যাড করে স্ক্রীনশট নিয়ে তাদের দোষী সাব্যস্ত করা যায়। যদি বাআম দলগুলির কাছে আমাদের বিরুদ্ধে সত্যি কোনও প্রমাণ থাকে, তবে তারা পুলিশে কমপ্লেন করছে না কেন?”

আরও পড়ুনঃ ঐশীদের বিরুদ্ধে এফআইআর, অভিযোগ ক্যাম্পাসে ভাঙচুরের

এদিকে এবিভিপি-র কিছু সদস্য ঐশী ঘোষকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য কিছু ভিডিও শেয়ার করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও জেএনইউএসইউ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট সাকেত মুন সেগুলি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।

দিল্লি পুলিশের তরফে মন্দীপ সিংহ রান্ধাওয়া জানিয়েছেন, সেদিনে ক্যাম্পাসে হওয়া ‘ভ্যান্ডালিজম’ ও অত্যাচারের প্রমাণ স্বরূপ যে ভিডিওগুলি পাওয়া গেছে, সেগুলি ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here