ওয়েব ডেস্ক, নিউজ ফ্রন্ট:

মাত্র তিন সপ্তাহ পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টুইটারে ‘আনফলো’ করল হোয়াইট হাউস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত টুইটার হ্যান্ডেলের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী দপ্তর, রাষ্ট্রপতি দপ্তর ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত মোট পাঁচটি টুইটার অ্যাকাউন্ট ‘আনফলো’ করেছে হোয়াইট হাউস।
উল্লেখ্য, হোয়াইট হাউস পাঁচটি অ্যাকাউন্টই ‘ফলো’ করা শুরু করে মাত্র তিন সপ্তাহ আগে থেকে। তারপর থেকে হোয়াইট হাউসের ফলো করা টুইটার অ্যাকাউন্টের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৯এ। সেই ১৯টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে ৬টি অ্যাকাউন্টকে ‘আনফলো’ করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন। যে অ্যাকাউন্টগুলো ‘আনফলো’ করা হয়েছে তারমধ্যে ভারতের দূতাবাস এবং ভারতে অবস্থিত আমেরিকান দূতাবাসও রয়েছে।
উল্লেখ্য একই দিনেই ভারতবর্ষে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে সরব হয় আমেরিকান ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশন ‘ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টার্ন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’। এই সংস্থা ভারত সহ মোট ১৪ টা দেশকে “Country of Particular Concern”অর্থাৎ ‘নির্দিষ্ট উদ্বেগের দেশ’ বরলে আখ্যায়িত করে। সেই তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান, চিন ও উত্তর কোরিয়ার মত দেশও।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর টুইটের প্রেক্ষিতে ভারতীয় দূতের মন্তব্য ‘ভারত বৈষম্যে বিশ্বাস করে না’
ওই সংস্থার ২০২০ সালের রিপোর্টে বলা হয় যে ২০১৯ সালে ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার বাড়ার মাধ্যমে ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশাল প্রত্যাখ্যানের পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে ভারত সরকার ধর্মীয় স্বাধীনতা বিশেষ করে মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করেছে। সেই সঙ্গে ওই সংস্থা নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়েও একহাত নেয়। শুধু তাই নয় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ‘হেট স্পিচ’অর্থাৎ ঘৃণা বক্তব্য ও উস্কানি মূলক বক্তব্য তাদের বিরুদ্ধে হিংস্রতা বাড়াতে সহায়তা করেছে বলেও তাদের দাবি।
এছাড়াও এই কমিশন ফেব্রুয়ারি মাসের দিল্লি দাঙ্গার কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে তারা দাঙ্গা রুখতে ব্যর্থ হয়েছে, এমনকি পুলিশ দাঙ্গায় অংশগ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি ও আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজ নিজ দেশে ক্ষমতায় আসার পরই নাকি দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালো হয় বলে দাবি করা হয়। তাহলে কি সেই সম্পর্ক অবনতির দিকে?এছাড়াও কিছুদিন আগেই হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন নিয়েও ভারতকে হুমকি দিতে ছাড়েননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপরে আমেরিকায় অবস্থিত ভারতীয়দের ভিসা নিয়েও কম চাপানউতোর হয়নি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584