বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিফ সায়েন্টিস্টের সায় নেই সম্পূর্ণ লকডাউনে

0
74

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

“সম্পূর্ণ লকডাউনের ফল হবে ভয়াবহ”, বললেন ডক্টর সৌম্যা স্বামীনাথন; তৃতীয় ঢেউ এর আগে জোর দিতে হবে গণ টিকাকরণে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিফ সায়েন্টিস্ট ডক্টর সৌম্যা স্বামীনাথনের সায় নেই সম্পূর্ণ লকডাউনে। জানালেন, ” দ্বিতীয় ঢেউ এর ধাক্কা সামলে তৃতীয় ঢেউ এর আগে যথেষ্ট সংখ্যায় টিকাকরণই একমাত্র উপায়।”

WHO | newsfront.co

তিনি সতর্ক করেছেন এই প্যান্ডেমিকের শুধু দ্বিতীয় বা তৃতীয় ঢেউ নয়, আসতে পারে আর অনেক ঢেউ।সেকারণেই যত বেশি সংখ্যক মানুষকে দ্রুত টিকার আওতায় আনা যাবে, তত তাড়াতাড়ি এড়ানো যাবে বিপর্যয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, কোভিশিল্ড টিকার দুটি ডোজের মাঝে ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের ব্যবধান রেখে, ওই সময়ের মধ্যে আরো বেশি সংখ্যক মানুষকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া যেতে পারে। যদিও শিশুদের ক্ষেত্রে এখনো টিকার সুপারিশ করা হচ্ছে না, কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে প্রথম ডোজের পর ৮-১২ সপ্তাহের ব্যবধান রাখা যায়, যাতে মধ্যবর্তী সময়ে আরো অনেককে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া সম্ভব হয়। আগামী ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। সেই অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক অধিকর্তা ডক্টর পুনম ক্ষেত্রপাল সিং ও জোর দিয়েছেন গণ টিকাকরণে।

টিকাকরণে প্রথম স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দিনে গড়ে ৩০ লক্ষেরও বেশি টিকাকরণ হচ্ছে সে দেশে। পিছিয়ে নেই ভারত ও; টিকাকরণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে ভারত। দৈনিক গড় টিকাকরণ হচ্ছে প্রায় ২৬লক্ষ ডোজ।

আরও পড়ুনঃ করোনার দাপট গুজরাটেও! লকডাউন ছাড়া উপায় নেই, জানাল হাইকোর্ট

ইতিমধ্যে, পুনের বিশেষজ্ঞরাও লকডাউনের বিরুদ্ধেই রায় দিয়েছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন,” গত বছর লকডাউন চলাকালেই বহু হটস্পট-এর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল পুনেতে। আর যেমুহূর্তে লকডাউন তুলে নেওয়া হলো আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে।এরপর আবার ১০ দিনের লকডাউন করা হয় পুনেতে। তাতেও কোন লাভ হয়নি, বরং বেড়ে যায় সংক্রমণ। কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের ফলে ছোট ছোট অঞ্চলে সংক্রমন ছড়াতেই থাকে। আর যখনই লকডাউন তোলা হয়, মানুষ বিরক্ত হয়ে সামাজিক মেলামেশা শুরু করেন ফলে আরো বেশি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ,” এমনই মত আইআইএসইআর-এর অধ্যাপক এলএস শশীধারার।

আরও পড়ুনঃ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ! ৪৫বছর বা ঊর্ধ্বে সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীকে টিকা নিতে পরামর্শ কেন্দ্রের

পুনের চিকিৎসকরা বরং অনেকটাই আশান্বিত যে,হাসপাতালগুলিতে বেডের সংখ্যা বাড়ার ফলে বেশি সংখ্যায় আক্রান্তের চিকিৎসা করা সম্ভব হবে। পুনে থেকে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একটি দল যাচ্ছে মহারাষ্ট্রে। তাঁরা সেখানকার ৩০ টি জেলায় ঘুরবেন এবং মূলত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নতি , টেস্টিং বাড়ানো, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং ইত্যাদি ক্ষেত্রে সাহায্য করবেন। তাঁরা আশা করছেন আরো হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকরা তাঁদের সঙ্গে যোগ দেবেন তাঁদের এই প্রচেষ্টায়, যাতে কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসা আরো সুষ্ঠুভাবে করা যায়, সম্পূর্ণ লকডাউনের পথে না হেঁটে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here