প্রীতম সরকার, উত্তর দিনাজপুরঃ
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় তৎপর দেশের সরকার। মানুষ গৃহবন্দি। ২১ দিন ঘরে থেকেই আটকাতে হবে মারণ ব্যাধিকে। টানটান উত্তেজনায় মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে দেশজুড়ে আগামী ২১দিনের জন্য লক ডাউন যুদ্ধ।
সকালের দিকে রাস্তায় বেশ কিছু মানুষ বেরিয়েছিলেন কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে শুনশান গ্রাম থেকে শহর। সমস্ত এলাকার আনাচে কানাচে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলছে টহলদারী। বিভিন্ন ভাবে জনসাধারণকে বাড়িতে থাকতে বলা হচ্ছে। সচেতনতার স্বার্থে প্রশাসন পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ পুলিশের প্রণাম, মুখে হাসি বালুরঘাটের প্রবীণদের
জরুরি অবস্থার মধ্যেও ভিন রাজ্য থেকে ফেরত আসা মানুষদের খোঁজ নিতে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী এবং পুরুষ গ্রামীণ সম্পদ কর্মীরা। প্রশাসনিক নির্দেশিকা মেনে পরিকল্পনা বহির্ভুত ভাবেই গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন তাঁরা।
বুধবার দুপুরে রায়গঞ্জ ব্লকের কমলাবাড়ি এলাকার গ্রামে দেখা গেল সুরক্ষা ছাড়াই স্বাস্থ্যকর্মী শেফালী বর্মণ, রীতা মোদক, বন্দনা সরকারদের। তাঁরা জানালেন মাস্ক গ্লাভস নেই, তাসত্ত্বেও মানুষের জন্য যেতে হচ্ছেই।
প্রতিদিনের এলাকার খবর সিনিয়রদের দিতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্মীরা ঘুরলেও হাতে নেই গ্লাভস, মুখে মাস্ক নেই, নেই কোনো দস্তানা, হাতে দেওয়ার মতো স্যানিটাইজারও নেই। কোনোরকম সুরক্ষা ছাড়াই ছুটে চলেছেন এক পাড়া থেকে অন্য পাড়ায়। ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন এই বার্তা নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে।
জরুরি পরিষেবা প্রদান কারীদের স্বাস্থ্য কর্মীদের এই মুহূর্তে খাবারের চেয়েও বেশি প্রয়োজন মাস্ক, গ্লাভস ও স্যানিটাইজারের। তা যদি সরকার দিতে না পারে তবে অচিরেই সমুহ বিপদের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে গ্রাম থেকে শহরকে, একথা মনে করছেন অনেকে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584