নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
উত্তরপ্রদেশের কানপুরে তিনদিনের সফরে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তাই কড়া নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয় রেলপথ থেকে সড়কপথ। কানপুর ঢোকার সময়ই রাষ্ট্রপতির কনভয়ে আটকে হাসপাতালে পৌঁছতে না পেরে মৃত্যু হল এক মহিলার। ওই মহিলা ছিলেন ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডাস্ট্রিজের কানপুর মহিলা শাখার প্রধান বন্দনা মিশ্র।
মর্মান্তিক এই ঘটনায় বন্দনা মিশ্রের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। কানপুরের পুলিশ সুপার অসীম অরূণ টুইট করেছেন, ‘বন্দনা মিশ্রের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষমাপ্রার্থী কানপুর পুলিশ। ভবিষ্যতে এটি আমাদের জন্য এক বড় শিক্ষা। আমরা শপথ করছি, যান চলাচলের এমন ব্যবস্থা করব যাতে সাধারণ মানুষ ন্যূনতম সময়ে নিজের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে। যাতে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।’
आईआईए की अध्यक्षा बहन वन्दना मिश्रा जी के निधन के लिए कानपुर नगर पुलिस और व्यक्तिगत रूप से मैं क्षमा प्रार्थी हूं। भविष्य के लिए यह बड़ा सबक है। हम प्रण करते हैं कि हमारी रूट व्यवस्था ऐसी होगी कि न्यूनतम समय के लिए नागरिकों को रोका जाए ताकि ऐसी घटनाओं की पुनरावृति न हो।
— POLICE COMMISSIONERATE KANPUR NAGAR (@kanpurnagarpol) June 26, 2021
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, রাষ্ট্রপতিও এই ঘটনায় খুবই ব্যথিত। তিনি কানপুরের পুলিশ কমিশনার ও জেলাশাসককে ফোন করে পুরো ঘটনাটি জেনেছেন। এবং নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ অফিসাররা যেন ব্যক্তিগতভাবে মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে শোকবার্তা জানান।
महामहिम राष्ट्रपति जी बहन वन्दना मिश्रा जी के असामयिक व निधन से व्यथित हुए। उन्होंने पुलिस आयुक्त और जिलाधिकारी को बुलाकर जानकारी ली व शोक संतप्त परिवार तक उनका संदेश पहुंचाने को कहा। दोनों अधिकारियों ने अंत्येष्टि में शामिल होकर शोकाकुल परिवार तक महामहिम का संदेश पहुंचाया। pic.twitter.com/nIYKQZNj4e
— POLICE COMMISSIONERATE KANPUR NAGAR (@kanpurnagarpol) June 26, 2021
সূত্রের খবর, ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের কানপুর মহিলা শাখার প্রধান ছিলেন বন্দনা মিশ্র, বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। কিছুদিন আগেই করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। আর সেই সময়ই যাচ্ছিল রাষ্ট্রপতির কনভয়। পুলিশ আটকে দেয় তার গাড়ি। ফলে যানজট কাটিয়ে হাসপাতালে পৌঁছতে দেরি হলে হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুনঃ দেশজুড়ে কৃষক আন্দোলনের সাত মাস পরেও অধরা সমাধানে বিক্ষোভ কর্মসূচি দিল্লিতে
এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এক উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারকে। এছাড়া গাফিলতির অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে ১ সাব-ইনস্পেক্টর ও ৩ কনস্টেবলকে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584