ভিনরাজ্যে আটকে পরা শ্রমিকেরা ইটাহারের বিধায়কের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ

0
30

প্রীতম সরকার, উত্তর দিনাজপুরঃ

লকডাউনের জেরে আটকে পড়া শ্রমিকেরা ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্যের দ্বারস্থ হয়েছেন। অমলবাবুর মাধ্যমে তাদের নিজের গ্রামগুলিতে ফিরিয়ে আনতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন। লকডাউনের জেরে উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন ব্লকের প্রায় দু’হাজার বাসিন্দা ভিন্ রাজ্যে আটকে পড়েছেন।

Amal Acharya | newsfront.co
বিধায়ক অমল আচার্য। নিজস্ব চিত্র

তাঁরা সকলেই সে সব রাজ্যে নানা বেসরকারি সংস্থা ও হোটেলে শ্রমিকের কাজ করেন। বৃহস্পতিবার সকালে মুম্বইয়ের নাগপাড়া থানার কামাতিপুর থেকে ইটাহার ব্লকের সুরুণ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকার ২০ জনেরও বেশি বাসিন্দা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো বার্তা পাঠিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ ভাইরাসের আতঙ্ক মেটাতে ঢাক বাজিয়ে সর্তকতামূলক প্রচার কালিয়াগঞ্জ পুরসভার

ওই ভিডিয়ো বার্তায় শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, লকডাউনের জেরে তাঁরা ভিন্ রাজ্যে আটকে পড়েছেন। তাঁদের কাছে পর্যাপ্ত টাকা ও খাবার নেই। গাড়ি ও ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারছেন না।

বাইরের দোকানে খাবার কিনতে গেলে পুলিশ তাঁদের উপর লাঠিচার্জ করছে। ইটাহারের তৃণমূল বিধায়ক অমল আচার্য ও উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি কবিতা বর্মণের দাবি, ভিন্ রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের কথা রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, জেলার রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, ইটাহার, হেমতাবাদ, করণদিঘি, ইসলামপুর, চোপড়া, গোয়ালপোখর-১ ও ২ ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা ভিন্ রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। করোনা-আতঙ্কের জেরে গত একসপ্তাহে বেশিরভাগ শ্রমিক জেলায় ফিরে এসেছেন।

কিন্তু প্রায় দু’হাজার শ্রমিক ভিন্ রাজ্যে আটকে পড়েছেন। ইটাহার ব্লকের সুরুণ-১ ও সুরুণ-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পালইবাড়ি, কেওটাল, বালিজোল ও গোড়াহার এলাকার বাসিন্দা সমিলুদ্দিন আহমেদ, মহম্মদ ইসরাইল, একতেকার আলি ও নওয়াজ শেখ মুম্বইয়ের একটি নির্মাণ সংস্থায় রাজমিস্ত্রির কাজ করেন।

আরও পড়ুনঃ বাজারের ভীড় নিয়ন্ত্রণে এবার খোদ মহকুমাশাসক

তাঁদের বক্তব্য, লকডাউনের জেরে তাঁদের মতো ইটাহারের বিভিন্ন এলাকার এক হাজারেরও বেশি বাসিন্দা মুম্বইয়ে আটকে পড়েছেন। কাজ না থাকায় বেশিরভাগ শ্রমিকের কাছে পর্যাপ্ত টাকা ও খাবার নেই। গাড়ি ও ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারছেন না।

বাইরের বিভিন্ন দোকানে খাবার কিনতে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করছে। রায়গঞ্জের মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতিয়া এলাকার বাসিন্দা অজয় বর্মণ কেরলের একটি হোটেলে কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘‘২২ জানুয়ারি থেকে ধাপে ধাপে লকডাউন শুরু হওয়ার জেরে বহু শ্রমিক চেষ্টা করেও বাড়ি ফিরতে পারিনি। করোনা আতঙ্ক নিয়েই ভাড়াবাড়িতে গাদাগাদি করে থাকতে বাধ্য হচ্ছি।’’

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here