নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
১৩ জুলাই থেকে আসছে ‘যমুনা ঢাকি’। ঢাকির চরিত্রে শ্বেতা ভট্টাচার্য। এর আগে ‘তুমি রবে নীরবে’ ধারাবাহিকে এক মূক ও বধির নৃত্যশিল্পীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শ্বেতা, ‘জরোয়ার ঝুমকো’তেও রীতিমতো গয়না বানানো শিখেছিলেন তিনি, ‘কণক কাঁকন’-এও বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল চরিত্রটা। এবার ঢাকির চরিত্রটাও বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে করছেন শ্বেতা। ঢাক বাজানোও শিখছেন চরিত্রের জন্য।
শ্বেতাকে নতুন এই চরিত্র নিয়ে ফোন ঘোরাতে তিনি জানান- “আমি খুব খুশি এবং নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করছি এটা জানার পর যে জি বাংলা নাকি বলেছে এই চরিত্রটা শ্বেতাই করবে! একজন অভিনেত্রীর কাছে এর থেকে বড় পাওনা আর কী হতে পারে?” জানতে চাই, ঢাক বাজানো কি আগে থেকেই পারতে নাকি শিখলে চরিত্রের জন্য?
শ্বেতা জানান, শিখলাম, শিখছি। আমাদের এলাকায় একজন ঢাকি আছেন। পাড়ার সব পুজোতে তিনিই বাজান। তার থেকে শিখছি ঢাক বাজানো। তাছাড়া শুটিং ফ্লোরে রোজ একজন ট্রেনার থাকছেন। তিনিই শেখাচ্ছেন প্রতিদিন। ভুল হলে ধরিয়ে দিচ্ছেন প্রতিমুহূর্তে। বাঁ হাতের কাঠিটা অন্যভাবে ধরতে হয়। সেটাও রপ্ত করে নিয়েছি। নানা চরিত্রে অভিনয় করার দৌলতে অনেক কিছু নতুন শিখলাম এই কদিনের অভিনয়জীবনে। আমি এর জন্য স্নেহাশিস দা’র (চক্রবর্তী) কাছে কৃতজ্ঞ। আমাকে অনেক ভাঙাগড়ার সুযোগ দেন তিনি।”
যমুনা চরিত্র সম্বন্ধে জানতে চাইলে শ্বেতা বলেন- “এখানে আমি এক পেশাদার ঢাকির মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছি। আমার বাবা সফল এক ঢাকি। নিম্নবিত্ত পরিবার। প্রতিবছর বিশ্বকর্মা পুজোর ভাসানে ঢাক প্রতিযোগিতা হয়। বাবা কোনওদিন হারেনি। বাবা গ্রামের মুখ রক্ষা করে। বাবা অসুস্থ হওয়ায় আমি বাবার মুখ রাখি একবার। ট্রফি গ্রামের বাইরে যেতে দিইনা।
আরও পড়ুনঃ ‘তিতলি শুরু হবে করোনা সচেতনতার বার্তা দিয়ে…’ জানালেন প্রযোজক সুশান্ত দাস
বাবা চিরকাল কলকাতার রায় বাড়ির দুর্গাপুজোয় ঢাক বাজায়। এবারও যাবে। কিন্তু যাওয়ার ক্ষমতা নেই তার। বাবার বুকে বড় ব্যথা৷ কিন্তু যেতে হবেই। কেননা রায় বাড়িতে বাবা ছাড়া কেউ ঢাক বাজাবে না মায়ের পুজোয়। তাছাড়া টাকার বড় দরকার আমাদের। মহাজনের চোখ আমার বোনের দিকে।বকেয়া টাকা না মেটাতে পারলে আমার বোনকে তুলে নিয়ে যাবে বলেছে মহাজন।
তাই বাধ্য হয়েই টাকা জোগাড়ের জন্য কলকাতায় যাই আমি আর বাবা। বাবা সেখানে বাজাতে বাজাতে পড়ে যায় এবং আমি কাঁধে তুলে নিই সেই ঢাক। আমায় রায় বাড়িতে ঢাক বাজাতে বাধা দেওয়া হয়। রায় বাড়িতে কোনও মহিলা কোনও বাদ্যযন্ত্র বাজায় না। তবলা বাজাতেন বাড়ির এক সদস্যা। প্রতিবাদের ঝড় ওঠে তাকে কেন্দ্র করে। আমি বাড়ির সদস্যদের জানাই আপনারা তো দেবীকে পুজো করছেন।
আরও পড়ুনঃ ১১ জুলাই থেকে দাদা-দিদির নতুন পর্ব!
তিনিও তো একজন নারী তাহলে কোনও মহিলা ইচ্ছে করলে ঢাক বাজাতে পারবে না কেন? একজন মা সন্তানের জন্ম দিতে পারলে ঢাক বাজাতে পারবে না কেন? শেষ অবধি আমি ঢাকটা বাজাই। আমায় সঙ্গ দেয় বাড়ির এক সদস্য নাম সঙ্গীত। এই চরিত্রে রয়েছে রুবেল দাস। সে বিদেশে থাকে। সেখানে মেয়েদের নানাধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজাতে দেখে সে। তাই সে আমার ঢাক বাজানো দেখে খুব খুশি আর মুগ্ধ হয়। বাকিটা আর বলব না।তবে হ্যাঁ, এই প্রসঙ্গে একটা চরিত্রের কথা না বললে চলে না সে হল দিদুন। সে ভাল তবলা বাজাত। আমাকে সে খুব ভালোবেসে ফেলে প্রথম দেখাতেই।
দিদুন বলে আমিই নাকি দুর্গা। তার কাছ থেকে আমি অনেক কদর পাব ধারাবাহিকে। আমাকে সে উপহারও দেবে। এই চরিত্রে আছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোমা দে। ব্যস, আজ এটুকুই। আর নয়। ১৩ জুলাই থেকে দর্শক সব প্রশ্নের উত্তর পাবেন।” সোম থেকে শনি সন্ধে সাড়ে ৭ টার স্লটে জি বাংলায় আসছে ‘যমুনা ঢাকি’।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584