নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
হাথরাসে গণধর্ষণ ও নির্মম অত্যাচারে দলিত তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন যোগী আদিত্যনাথ। উল্লেখ্য, গতকাল শনিবারই টুইটারে যোগী আদিত্যনাথ লিখেছিলেন, “যারা উত্তরপ্রদেশের মা-বোনেদের সম্মান নষ্ট করবে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।“
বৃহস্পতিবার বাধা পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পর হাথরাসের ছবিটা বদলাল। শেষ পর্যন্ত হাথরাসে গিয়ে গণধর্ষিতা তরুণীর বাড়ি গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। এছাড়াও তাঁদের সঙ্গে গিয়েছিলেন আরও তিন জন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
এদিন সকালে টুইট করে হাথরাসে যাওয়ার কথা জানান কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি বলেছিলেন, ‘বিশ্বের কোনও শক্তি নেই যে আমায় নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করা থেকে আটকাবে।‘
আরও পড়ুনঃ হাথরাসকাণ্ডে পুলিশ সুপার-সহ ৫ আধিকারিককে সাসপেন্ড
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির হাথরাস যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই দিল্লি-নয়ডা সীমানায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। প্রিয়াঙ্কা সুর চড়িয়ে বলেন, ‘এবার না পারলে আবার চেষ্টা করব।’ হাথরাসজুড়ে এখন খাঁকি উর্দির দাপাদাপি। ‘রাজধর্ম’ পালনে ব্যস্ত যোগীর পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ হাথরাসে অভিযুক্তদের সমর্থনে বিক্ষোভ ঠাকুর সম্প্রদায়ের
গ্রামে প্রবেশের প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে প্রথম ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। গ্রামে রয়েছে প্রায় আড়াই শো পুলিশ কর্মী। মোতায়েন রয়েছে প্রভিনশিয়াল আর্মড কনস্টাব্যুলারির (পিএসি) ৪৮ জন কর্মীও।
মাঝে মধ্যেই অন্যান্য গাড়িতেও আসা যাওয়া করছে পুলিশ। এর মাঝেই শুক্রবার রাতে হাথরাসের ঘটনায় পুলিশ সুপার-সহ ৫ আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছে যোগী সরকার। এরপরই আজ, শনিবার হাথরাস ইস্যুতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল যোগী সরকার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584