শরীয়তুল্লাহ সোহন, ওয়েব ডেস্কঃ
বাংলায় একটা প্রবাদ বাক্য প্রচলিত আছে, “মালিকের থেকে ভৃত্যের পেয়াদাগিরি বেশী” -এই কথাটির সাথে বেশ মানানসই সিভিক ভলান্টিয়ারদের কর্মকাণ্ড। প্রসাশনিক কাজে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতার জন্য এই সিভিকদের নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। কিন্তু প্রসাশনের পরোক্ষ মদদে দিনের পর দিন সিভিক ভলান্টিয়াররা নানাভাবে সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করার পাশাপাশি, বিভিন্নভাবে দাদাগিরি করছে। যা আইনের চোখে কোনভাবেই শোভনীয় নয়।
বেশ কিছুদিন আগে এক্সাইড মোড়ে ছিনতাইবাজ সন্দেহে একজন নিরাপরাধকে নির্মমভাবে প্রহার করেন একজন সিভিক। বুকে লাথি মেরে, বুকের উপর পা চাপিয়ে রেখে চরম দাদাগিরির নমুনা প্রদর্শন করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অমানবিকতার চাদরে মোড়া ভিডিওটি ভাইরাল হলে, অভিযুক্ত সিভিককে কর্ম থেকে বরখাস্ত করা হয়। সেই রেশ না কাটতেই আবার এক সিভিক চরম দাদাগিরির নমুনা পেশ করল বেহালায়। গাড়ী পার্কিং করাকে কেন্দ্র করে দুই তরুণ-তরুণীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল এক সিভিকের বিরুদ্ধে।
ঐ তরুণ-তরুণীর বয়ান অনুযায়ী, তাদের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছে। তাই বিয়েকে কেন্দ্র করে নানা কেনাকাটা করতে বেহালার এক দোকানে যান। দোকানের সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে দ্রুত কেনাকাটা করছিলেন তারা। সেই সময় সিভিকটি এসে বলেন, এই গাড়ী কেন দোকানের সামনে পার্কিং করে রাখা হয়েছে। উত্তরে তরুণ-তরুণী টি গাড়ি সরিয়ে নিচ্ছি বলে বাইক ঘোরাতে যান। ঠিক তখনই বাইকের পিছনে বসে পড়েন সিভিকটি এবং ট্রাফিক পুলিশের কিয়স্কে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করেন ঐ তরুণ-তরুণী কে। মারধরের পড়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ পেট্রোল-ডিজেলে কেন জিএসটি নয়? সঠিক কারণ জানাতে কেন্দ্রকে নির্দেশ কেরালা হাইকোর্টের
এমন ঘৃণ্য ঘটনার পর ঐ তরুণ-তরুণী দ্রুত ডায়মন্ডহারবার থানায় যান অভিযোগ জানাতে। কিন্তু তাদের অভিযোগ না লিখে ৩ ঘন্টা মতো বসিয়ে রেখে নানাভাবে হেনস্থা করেন। আজ ফের তারা সিভিকটির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে থানায় যাবেন বলে জানা যায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584