নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
লকডাউনের আবহে সারা দেশজুড়ে চলছে সচেতনতার প্রচার। কিন্তু তাতেও কতদূর কাজ হচ্ছে তা নিয়ে সংশয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশ। লকডাউন উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষের জমায়েত থামাতে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনাও সামনে এসেছে।
এমন পরিস্থিতিতে সচেতনতার পাঠ দিচ্ছেন ভিন গ্রামের যুবকেরা। বাড়তি জমায়েত আটকাতে বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সচেতন করছে ওই যুবকেরা।পাশাপাশি তাঁরা বাজারে আসা ক্রেতাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দোকানের সামনে লাগিয়েছে সাইনবোর্ড।
তাঁরা ক্রেতাদের তিন ফুট দূরত্বে থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন। সঙ্গে চলছে ক্রেতাদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য ‘স্যানিটাইজার’ ও ‘মাস্ক’ বিতরণ কর্মসূচিও। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা-১ ব্লকের পাঁচরোল গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বসেছে বাজার।
আরও পড়ুনঃ ‘নোটবন্দি’র স্মৃতি নিয়ে সকাল থেকেই ভিড় ব্যাঙ্কের সামনে, মানা হচ্ছে না বিধিনিষেধ
ওই বাজারে উত্তম সাউ ও রামচন্দ্র ঘোড়াইয়ের যথাক্রমে সব্জি ও মাছ দোকান রয়েছে।করোনাভাইরাস নিয়ে তখনও পাঁচরোলের মানুষ সেভাবে সচেতন ছিলেন না। পাঁচরোল থেকে প্রায় তিন- চার কিলোমিটার ভিতরে বাহিয়া গ্রামে অবস্থিত বাজারের দোকানদার উত্তম সাউ ও রামচন্দ্র ঘোড়াই তখন থেকেই সচেতন।
পাশাপাশি স্থানীয় বিলবড়া গ্রামের গৌরীশঙ্কর বারিক, ভোলানাথ মহাপাত্র, বেণুবিনোদ দাস ও উমাশঙ্কর সেনাপতিরা সরকারের আবেদন মেনে করোনা নিয়ে বাজারে ক্রেতাদের জন্য স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুইয়ে দিচ্ছেন এবং মুখে মাস্কও পরিয়ে দিচ্ছেন।
তাঁরা ক্রেতাদের জন্য যাবতীয় সচেতনতা ও সাবধানতা অবলম্বন করছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আহ্বানে ‘জনতা কার্ফু’ থেকে শুরু করে সরকারের প্রতিটা নির্দেশ পালন করছেন গৌরীশঙ্কর ও ভোলানাথ। এতে এলাকার বাসিন্দারা খুবই খুশি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584