ওয়েব ডেস্ক, নিউজ ফ্রন্ট:
দিল্লি সংঘর্ষের ঠিক আগে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রের সিএএ-বিরোধী আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়ার বিতর্কিত হুমকিকে উস্কানিমূলক বক্তব্যের মানদণ্ড হিসেবে মনে করেন ফেসবুক প্রধান মার্ক জুকারবার্গ।
বিতর্কিত বিজেপি নেতার নাম উচ্চারণ না করেই ফেসবুক কর্মীদের উদ্দেশ্যে হেট স্পিচের(ঘৃণা বক্তব্য) উদাহরণ হিসাবে ফেসবুক কর্তা কপিল মিশ্রের বক্তব্য কোট করেন বলে খবর।
আসলে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। প্রতিবাদ স্বরূপ ফেসবুক কর্মীরাও দাবি তোলেন ট্রাম্পের বিতর্কিত ফেসবুক পোস্ট সরিয়ে দেওয়ার।
তারপরেই ফেসবুক প্রধান ট্রাম্পের বক্তব্যের বিরোধিতা করেও তাঁর কর্মীদের উস্কানিমূলক বক্তব্যের উপর দীর্ঘ বক্তৃতা দেন এবং কেন ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মার্কিন প্রেসিডেন্টের পোস্ট সরায়নি সেটা ব্যাখ্যা করেন।
উস্কানিমূলক বক্তব্য বা ঘৃণা বক্তব্যের পর ফেসবুক কোন্ ক্ষেত্রে পোস্ট মুছে দেয় আর কোন্ ক্ষেত্রে মোছেনা তার নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। তারই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মার্ক জুকারবার্গ নাম না করেই দিল্লি দাঙ্গার আগে কপিল মিশ্রের হুমকিকে উস্কানিমূলক বক্তব্যের উদাহরণ মানদণ্ড হিসেবে তুলে ধরে গত মঙ্গলবার বলেন,”ভারতবর্ষেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে একজন বলছেন,’পুলিশ যদি এটা সামলাতে না পারে, আমাদের সমর্থকরা সেখানে গিয়ে রাস্তা খালি করবে।”‘
দিল্লি সংঘর্ষের ঠিক আগে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতা কপিল মিশ্র ডিসিপিকে পাশে দাঁড় করিয়ে রেখেই দিল্লি পুলিশকে রীতিমতো হুমকির সুরে জাফরাবাদ ও চাঁদবাগ এলাকার নতুন নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলন তুলে দিয়ে এলাকা খালি করতে বলেন। তিনি এ জন্য দিল্লি পুলিশকে তিনদিনের সময়ও বেঁধে দেন। হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, ” ট্রাম্প ফিরে যাওয়া পর্যন্ত আমরা শান্তি বজায় রাখছি। কিন্তু তারপরেও যদি রাস্তা খালি না হয় তাহলে আপনার কথাও শুনবো না।”
আরও পড়ুন:সিএএ বিরোধী আন্দোলন:দিল্লি পুলিশকে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রর হুমকি
দিল্লি সংঘর্ষে ৫০ এরও বেশি মানুষ নিহত হন। পরবর্তীকালে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কপিল মিশ্রের সেই বিতর্কিত বক্তব্য ফেসবুক থেকে সরিয়ে দেয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584