শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
২৪ ঘন্টায় বঙ্গে সর্বাধিক সংক্রমণ নজরে আসার পর করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে আরও আগ্রাসী হল রাজ্য প্রশাসন। করোনা সংক্রমণের ঘটনা অনুযায়ী এমনিতেই কিছু এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। তার মধ্যে যে এলাকায় সংক্রমণের হার অত্যন্ত বেশি, সেগুলিকে হটস্পট ঘোষণা করেছে। আবার মাইক্রো লেভেলে যে রাস্তা পাড়ায় করোনা সংক্রামিত রোগী ধরা পড়েছে, সেই এলাকাকে ‘কনটেনমেন্ট’ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
একদিকে যেমন এই ‘কনটেনমেন্ট’ এলাকাগুলিতে মানুষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, তেমনই তার মধ্যে ক্লাস্টার জোনে ভেঙে এলাকাভিত্তিক র্যাপিড ও পুল টেস্টও দ্রুত হারে করা হচ্ছে।
রাজ্যের করোনা সংক্রমিত এলাকাগুলিকে ৩টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এগুলি হল হটস্পট, কনটেনমেন্ট এলাকা এবং ক্লাস্টার জোন।
কাকে বলে কনটেনমেন্ট জোন?
জানা গিয়েছে, একেবারে করোনা সংক্রমণের ভরকেন্দ্র এবং সংক্রমিতদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁদের তালিকাভুক্তি ও ম্যাপিং, ভরকেন্দ্রের নিকটবর্তী সংক্রমিত ও সংস্পর্শতিদের ভৌগোলিক বিবরণ এবং শহর বা ছোট শহর বা গ্রামীণ এলাকার প্রশাসনিক সীমার ভিত্তিতে কনটেনমেন্ট জোন নির্ধারিত হয়ে থাকে। এই সমস্ত এলাকার বাসিন্দাদের আইসোলেশন, হোম কোয়ারেন্টাইনে আরও বেশি থাকতে জোর দেওয়া হয়। এই সমস্ত এলাকায় করোনা রোগী অবশ্যই পাওয়া গিয়েছিল।
কনটেনমেন্ট জোনের ভিতরে থাকে ক্লাস্টার জোন, যেখানে নতুন সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। করোনা রোগীর ঠিক আশপাশের একটি এলাকাকে ক্লাস্টার জোন ধরে পরীক্ষা চালানো হয়। আর কনটেনমেন্ট জোনের বাইরের এলাকাকে বলা হয় বাফার জোন। বাফার জোনে নজরদারির সঙ্গে অতিরিক্ত শ্বাসকষ্টজনিত কষ্ট যাঁদের ছিল, তাঁদের ওপর নজরদারির বিষয়টিও রাখা হয়। কনটেনমেন্ট জোনে প্রত্যক্ষ ভাবে এবং বাফার জোনে পরোক্ষে নজরদারিও বাড়ানো হয়।
সেই কারণে কনটেনমেন্ট এলাকার বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি বিপদের সম্ভাবনার মধ্যে রয়েছেন বলে ধরেই নেওয়া যায়। আর তাই কলকাতার ১১২ টি রাস্তাকে চিহ্নিতকরণ করে এবার নামছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তালিকা দেখে নিন আর নিজের এলাকা হলে সতর্ক হয়ে যান আপনিও।
এক নজরে শহর কলকাতার ১১২টি কনটেইনমেন্ট রাস্তা
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584