নাটকীয় মোড় মার্কিন রাজনীতিতে! ১১ জন রিপাবলিকান সিনেটর ট্রাম্পের পক্ষে

0
164

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

নতুন টুইস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে। ১১ জন রিপাবলিকান সিনেটর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবির পক্ষে দাঁড়ালেন। এই ১১ জনের মধ্যে প্রভাবশালী সিনেটর টেড ক্রুজ সহ অন্যান্য আইনপ্রণেতারা রয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে তাঁরা ট্রাম্পের দাবির পক্ষে দাঁড়াবেন।

Donald Trump | newsfront.co
ফাইল চিত্র

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের শেষ সাংবিধানিক প্রক্রিয়া কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে তাঁরা ইলেকটোরাল ভোট গণনায় আপত্তি তুলবেন বলেই জানা গিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর টুইট বার্তায় বলেছেন, সত্য জানার পর এঁরা এগিয়ে এসেছেন। আরও সত্য সামনে আসবে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেছেন , দেশ এসব আইনপ্রণেতাদের নাকি মনে রাখবে! প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনও মনে করছেন, নির্বচনের ফলাফল তিনি পাল্টে দেবেন।

প্রভাবশালী রিপাবলিকান সিনেটর টেড ক্রুজ এবং অন্যান্যরা শনিবারে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, তাঁরা ইলেকটোরাল কলেজের ভোটের ফলাফলে আপত্তি জানাবেন কংগ্রেসে।

আরও পড়ুনঃ ইউরোপীয় থাকতে ফ্রান্সের নাগরিকত্ব চান বরিস জনসনের বাবা

নির্বাচনের ওপর ১০ দিনের পর্যবেক্ষণ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ফলাফল মেনে নেবেন না বলে এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন তাঁরা।

কংগ্রেস একটি ইলেকটোরাল কমিশন গঠন করে নিরপেক্ষ তদন্ত করবে এবং যে রাজ্যগুলোর ভোটের ফল নিয়ে বিরোধিতা সৃষ্টি হয়েছে, সেই রাজ্যগুলির সিনেটরদের ইলেকটোরাল ভোটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেবে বলে তাঁরা তাঁদের যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন।

আরও পড়ুনঃ ফের মুম্বই হামলার মাস্টার মাইন্ডকে গ্রেফতার করল পাকিস্তান

এর আগেও কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে গন্ডগোল পাকানোর ট্রাম্প শিবিরের আরেকটি চেষ্টাও বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা লুই গহেমার্ট টেক্সাসের ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে ইলেকটোরাল ভোট প্রত্যয়নের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আদেশ দেওয়ার আবেদন করেছিলেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স নিজেই এ মামলায় তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আদালতকে অনুরোধ করেন। বিচারক জেরমি কারনোডোল মামলাটি খারিজ করে দেন।

শুধু ১১ জন সিনেটরই নয়, ধারণা করা হচ্ছে প্রতিনিধি পরিষদে ট্রাম্প-সমর্থক এমন আরও শতাধিক আইনপ্রণেতারা ইলেকটোরাল ভোটের ফলাফল নিয়ে ৬ জানুয়ারি আপত্তি তুলতে পারেন। তবে তাঁদের আপত্তির কারণে নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে যাবে, এমনটা কেউই ভাবছেন না।

আরও পড়ুনঃ এইচ-১বি ভিসায় নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বৃদ্ধি ট্রাম্প প্রশাসনের

সিনেটর টেড ক্রুজ একসময় আইনের অধ্যাপক ছিলেন ও আমেরিকার সাংবিধানিক আইনের বিশেষজ্ঞ বলে মনে করা হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বেপরোয়া আচরনের সঙ্গে টেড ক্রুজের প্রকাশ্য অবস্থান আমেরিকার গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে দেখছেন অনেকেই।

এর মধ্যে বেশ কিছু সিনেটেরকে আগামী বছরে পুনর্নির্বাচনে দাঁড়াতে হবে। তাঁদের পুনরায় নির্বাচিত হয়ে আসার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনকে জরুরি মনে করছেন এ আইনপ্রণেতারা। নিছক এ রাজনৈতিক কারণেই এঁদের অনেকেই ট্রাম্পের নির্বাচনে কারচুপি ও জালিয়াতির ভুয়া দাবির পক্ষে দাঁড়াচ্ছেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন।

আগামী ২০ জানুয়ারি, প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস শপথ নেওয়ার পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে তাঁদের প্রস্তুতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন জো বিডেন।

এমন পরিস্থিতিতে ,৬ জানুয়ারি কোনো বিশৃঙ্খলা হলে পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে, সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে মার্কিন জনগণের মনে। শঙ্কাটি বাড়িয়ে দিয়েছে ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনের পরদিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের মধ্যপ্রাচ্য সফর স্থগিত হওয়ার ঘোষণায়।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here