শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
কিছুদিন আগেই সহকর্মী করোনা আক্রান্ত হলেও অন্য পুলিশকর্মীদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে না, এই অভিযোগে ডিসি কমব্যাটকে আক্রমণ করেছিলেন পুলিশকর্মীরাই। পরিস্থিতি সামলাতে ছুটে আসতে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। এবার সেই পুলিশ ট্রেনিং স্কুলেই একসঙ্গে খোঁজ মিলল ১২ জন করোনা পজিটিভ পুলিশকর্মীর। এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেছে লালবাজারও।
এই ১২ জন পুলিশ কর্মীর মধ্যে ৯ জন কনস্টেবল, ২ জন এএসআই বা অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর এবং এক জন গাড়িচালক। করোনা আক্রান্ত এদের প্রত্যেককেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একসঙ্গে এত জন পুলিশকর্মী আক্রান্ত হওয়ায় কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে যথেষ্ট আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত সোমবার এই পুলিশ ট্রেনিং স্কুলেরই দুজন পুলিশ কর্মীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পর মঙ্গলবার রাত থেকে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। মূলত নিজেদের পুলিশকর্মীরা পিটিএসের সামনে রাস্তা অবরোধ করে। দ্বিতীয় হুগলী সেতু যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। বাঁশ দিয়ে ডিসি কমব্যাটকে পেটানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা পৌঁছলে তাদের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদ হয় বিক্ষোভকারীদের।
আরও পড়ুনঃ রামমন্দির নির্মাণে অর্থের অভাব হবে না, জানালেন মহন্ত নৃত্য গোপাল দাস
কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী জানান, চূড়ান্ত অব্যবস্থার মধ্যে তাদের কাজ করতে হচ্ছে। ন্যূনতম কোনও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ছাড়াই তাদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে, ফলে অনেক সহকর্মীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। কোনও ছুটি তো পাওয়া যাচ্ছেই না, এমনকি ডিউটির নির্দিষ্ট সময়ের থেকে অনেক বেশি কাজ করতে হচ্ছে।
গত ২ মাসের মধ্যে কলকাতায় বিভিন্ন থানায় পুলিশ কর্মী এবং অফিসার মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। তাতেও মৌখিক আশ্বাস ছাড়া তাদের নিচুতলার জন্য সেভাবে কোনও সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়নি। একই ভাবে সোমবারও করোনা সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হলে গরফা থানা ভাঙচুর করেন পুলিশকর্মীরা। এদিকে কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে যে সেদিন পুলিশ কর্মীদের বিক্ষোভ অমূলক ছিল না, একসঙ্গে এতজন পুলিশ কর্মীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584