শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
রাজ্যে সুস্থতার হার বাড়লেও কলকাতায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার যে প্রত্যেক দিন বাড়ছে, তা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে প্রত্যেকদিনের বুলেটিনে। বৃহস্পতিবারও দেখা গিয়েছে, কলকাতায় রেকর্ড ১৮০ জনের সংক্রমণ এবং ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমনকি রাজ্যে ৫১৮ জনের মধ্যে কলকাতাতেই মৃত্যু ৩১৬ জনের।
তাই এবার কনটেনমেন্ট জোনের নিরিখেও রেকর্ড গড়ল কলকাতা। বৃহস্পতিবার নবান্নে এমনটাই জানালেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা।
এদিন তিনি বলেন, কলকাতা শহরে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়েছে ১৫০টি! ফলে এই মুহূর্তে কলকাতায় কনটেনমেন্ট জ়োনের বেড়ে দাঁড়াল ১৪৫৭। জেলাওয়াড়ি তথ্য বলছে, রাজ্যে মোট কনটেনমেন্ট জ়োনের সংখ্যা ২৪৫৫। ফলে অর্ধেকেরও বেশি কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে শুধু কলকাতাতেই।
জেলাভিত্তিক কনটেনমেন্ট জোনের ক্ষেত্রে উত্তর ২৪ পরগনা, যেখানে কনটেনমেন্ট জ়োন ২১৯টি, বাঁকুড়ায় ১৪০টি, হাওড়ায় ১২১টি এবং পূর্ব বর্ধমানে ১১৪ টি উল্লেখযোগ্য। ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের।
আরও পড়ুনঃ মোদীর বৈঠকে না ডাকা নিয়ে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
বৃহস্পতিবার বিকেলে কনটেনমেন্ট জ়োনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে উত্তরে রাজীব সিনহা জানান, “গত কয়েক দিনে এ শহরে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে একাধিক ট্রেন এসেছে। তাঁরা বিভিন্ন জেলায় চলে গেলেও এ শহরের স্টেশন দিয়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে গিয়েছেন। ঘরোয়া বিমানও চালু করে দেওয়া হয়েছে। সেই জন্যই গত কয়েক দিনে কনটেনমেন্ট জোন বেড়েছে।’
তবে এর পেছনে রাজ্যে নতুন কনটেনমেন্ট জোন নীতি আছে বলেও দাবি বিশেষজ্ঞদের। আগে কোথাও করোনা রোগীর খোঁজ মিললে সেই এলাকা বা পাড়াটাকেই কনটেনমন্ট জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছিল। তাতে একসঙ্গে এক এলাকায় অনেক করোনা রোগী চলে অসতেন। এখন তার পরিধি কমিয়ে যে বাড়িতে বা আবাসনে করোনা রোগীর হদিশ মিলেছে, সেটাই কনটেনমেন্ট জোন বলা হচ্ছে। ফলে একই এলাকায় একাধিক কনটেনমেন্ট জ়োন চিহ্নিত হচ্ছে। এর ফলে স্বাভাবিক ভাবেই কনটেনমেন্ট জ়োনের সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584