শ্যামল রায় বর্ধমান:
নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তার জামাইবাবু দাদা ও আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি দাঁইহাট শহরের ইস্কুল রোভ পারার।
মঙ্গলবার রাতে কাটোয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করে বই নবম শ্রেণীর ছাত্রী। 4 জনের নামে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ শীলতাহানী অভিযোগ নিয়ে আসে ছাত্রীটি। কাটোয়া থানার পুলিশ অভিযোগ পেয়ে সপ্ত দীপ্ত রায় ও প্রদীপ্ত সরকার কে গ্রেফতার করে। ধৃত দুই জনকে বুধবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক সপ্তদীপ্ত রায় কে পুলিশ হেফাজতের এবং প্রদীপ্ত সরকারকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। বাকি দুই অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ বিশ্বাস ও শংকর রায় কে পুলিশ খুঁজছে।
জানা গিয়েছে যে নবম শ্রেণীর ছাত্রী দুই দিন আগে এই ধরনের লাগাতার ধর্ষণ এর শিকার হয়ে নিজেকে অপমান বোধ করায় বাড়ি ছেড়ে এক বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
মাতৃহীন ছাত্রীটি তার বাবাকে না জানিয়েই বাড়ি ছেড়েছিল।
বাবার কাছে মেয়ে টি নিখোঁজ তাই কাটোয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি ও করে।
পুলিশ তদন্ত শুরু করার পরে মেয়েটির খোঁজ পায় এবং চাইলড লাইনের মাধ্যমে মঙ্গলবার রাতে কাটোয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা গিয়েছে যে মায়ের মৃত্যুর পর ওই মেয়েটিকে তার আত্ম বাড়ি দক্ষিণেশ্বরে রাখা হয়। দক্ষিণেশ্বরে ও সে নানা ধরনের শারীরিক অত্যাচারের শিকার হয়। ফের বাড়ি চলে আসে। বাড়িতে আসার পর থেকে সে তার জামাই বাবু এবং দাদা এবং কয়েকজন আত্মীয় কাছে গণধর্ষণের শিকার হয়। নানান ধরনের প্রলোভনের খপ্পরে পড়ে ওই ছাত্রীকে মাসের পর মাস ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে ঐ আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনার কথা জানাজানি হলে মেয়েটিকে ভয় দেখায় ওইসব আত্মীয়-স্বজনরা।
অভিযোগ পেয়ে কাটোয়া থানার তরফ থেকে মেয়েটিকে মেডিকেল টেস্টের জন্য কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584