মোহনা বিশ্বাস, ওয়েব ডেস্কঃ
করোনা সংক্রমণের জেরে আগে থেকেই নাজেহাল অবস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। তার উপর দোসর হয়েছে তাপপ্রবাহ। ওয়াশিংটন ও ওরেগনের কয়েক জায়গায় তাপমাত্রা পেরিয়ে গিয়েছে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর তার জেরে মাত্র এক সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছে ২০০ জনের।
হু হু করে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই প্রবল দাবদাহে পুড়ছে কানাডা ও আমেরিকা। তাপপ্রবাহের জেরে কানাডায় ইতিমধ্যেই ৫০০-রও বেশি মানুষের প্রাণ হারিয়েছেন। আমেরিকাও যে একই পরিস্থিতির শিকার, তা স্পষ্ট স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্টে। তথ্য বলছে, ওরেগনে ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১১৬ জন, আর ওয়াশিংটনে তাপপ্রবাহে কারণে মৃত্যু হয়েছে ৭৮ জনের। ওরেগনে পোর্টল্যান্ডের মাল্টনোমাহ কাউন্টিতেই মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। প্রশাসন সূত্রে খবর, অধিকাংশ লোকের বাড়িতেই এসি বা ফ্যান না থাকার কারণে মৃত্যু হয়েছে।
তবে, শুধু যে মানুষের প্রাণ যাচ্ছে তা নয়, বিপন্ন সামুদ্রিক প্রাণীরাও। ব্রিটিশ কলম্বিয়ার গবেষকরা জানিয়েছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কানাডায় যে তাপপ্রবাহ চলছে, তার জেরে প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে একশো কোটি সামুদ্রিক প্রাণীর।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বে প্রতি মিনিটে করোনায় মৃত্যু ৭, ক্ষুধায় মৃত্যু ১১, মর্মান্তিক তথ্য জানাল অক্সফ্যাম
রাজস্থানের মতো মরু অঞ্চলের তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস মানে তাপমাত্রা খুব একটা বেশি নয়। কিন্তু ওয়াশিংটন ও ওরেগনে জুলাইয়ের এই সময় গড় তাপমাত্রা থাকে ২৮ থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে। সেখানে হঠাৎ তাপমাত্রা এতটা বদলে গেছে যে, অনেকেরই শরীর মানিয়ে নিতে পারছে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেই কারণেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হচ্ছে সেখানকার বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুনঃ কোপা আমেরিকা ২০২১ চ্যাম্পিয়ান আর্জেন্টিনা
তবে, আমেরিকাবাসীর শরীর যদি এই তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারে তা হলে ভবিষ্যতে আরও খারাপ দিন আসতে চলেছে, এমনই পূর্বাভাস মার্কিন স্বাস্থ্য দফতরের। তাদের বক্তব্য, ‘জলবায়ু পরিবর্তন যে হচ্ছেই, তার বাস্তব উদাহরণ হল আবহাওয়ার এই আচমকা বদলে যাওয়া। কখনও ভয়াবহ বন্যা, কোথাও বিধ্বংসী দাবানল, তো কখনও এমন তাপপ্রবাহ। এবার এমন আবহাওয়ার জন্যই আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584