শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
করোনা আবহে নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে প্রথম বিদ্রোহের আগুন জ্বেলেছিলেন তাঁরাই। সেই স্ফুলিঙ্গে ২ সপ্তাহে কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুল ছাড়াও পর পর তিন বার বিক্ষোভ হয় গড়ফা থানা এবং কলকাতা পুলিশের ফোর্থ ব্যাটেলিয়নে। আপাত ভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে নিলেও প্রশাসনের মুখ পোড়ায় ভালমতই রুষ্ট হয়েছিল রাজ্য প্রশাসন। তারই ফলাফলে মাসখানেকের মধ্যেই বিদ্রোহের সামনে থাকা ১৩ জন কনস্টেবলের পর এবার ফের ২৫ জন কনস্টেবলকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হল। এদের মধ্যে রাফ ও ডিএমজি-র কয়েকজন সদস্যও রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, উপযুক্ত সুরক্ষাবিধি ছাড়া ডিউটি দেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগে গত ১৯ মে রাতে কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ফোর্সের ডেপুটি কমিশনার নভেন্দ্র সিং পলকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান একাধিক পুলিশকর্মী। ডিসি কমব্যাটকেও নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে রীতিমতো রাস্তা দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে বাঁচেন তিনি। পরদিন বেলায় বাড়ি থেকে নবান্ন যাওয়ার পথে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের সামনে গাড়ি থেকে নামেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি সামলাতে তিনি পরে আসবেন বলেও কথা দিয়ে যান।
আরও পড়ুনঃ বিচারক আক্রান্ত হলে ৮০ শতাংশ অগ্রিমঃ কলকাতা হাইকোর্ট
কিন্তু পরে মুখ্যমন্ত্রী আর আসেননি। বদলে এসেছে বদলির চিঠি। ইতিমধ্যে ৯ জুন ওই বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী ১৩ জন পুলিশকর্মীকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়েছে। এবার বদলির চিঠি ধরানো হল আরও ২৫ জন পুলিশকর্মীকে।
জানা গিয়েছে, , ২৫ জনের মধ্যে ১৬ জন কমব্যাট ফোর্সের কনস্টেবলকে সাউথ সাবার্বান ডিভিশন, সাউথ ওয়েস্ট ডিভিশন, সাউথ ইস্ট ডিভিশন এবং ট্রাফিক গার্ডে বদলি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মেডিক্যাল কলেজগুলিতে করোনার সঙ্গে এবার অন্য রোগের চিকিৎসা শুরুর বিজ্ঞপ্তি স্বাস্থ্য ভবনের
এছাড়া ডিএমজি গ্রুপের কনস্টেবলদেরও অন্যান্য ডিভিশনে বদলি করা হয়েছে। পর পর বদলির ঘটনায় ক্ষুব্ধ পিটিএসে থাকা পুলিশ কর্মীরা। সমস্যার সমাধান না করে উল্টে ব্যক্তিগতভাবে পুলিশকর্মীদের জীবিকার ক্ষতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পুলিশ কর্মীদের একাংশের। যদিও নবান্নের দাবি, এটা রুটিন বদলি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584