নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
বিদ্যুৎকর্মীদের ধর্মঘটের জেরে প্রায় ৩৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অন্ধকারেই ডুবে যায় চণ্ডীগড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা। মোটামুটি সোমবার বিকেলের দিক থেকেই জল সরববরাহ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বেশ কিছু গুরুত্বপুর্ণ এলাকার ট্রাফিক লাইট অকেজো হয়ে পড়ে।

বিদ্যুৎ সঙ্কটের প্রভাব পড়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবাতেও। বহু হাসপাতালে কম জরুরি অস্ত্রোপচার পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। দিল্লি সীমানা লাগোয়া অঞ্চলগুলিতেও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায়, অনলাইন ক্লাস ও কোচিং ক্লাসও বন্ধ রাখতে হয়। বিদ্যুৎ ক্ষেত্র বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে টানা তিনদিন ধর্মঘটের ডাক দেন বিদ্যুৎ কর্মীরা। তার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে পরিষেবায়।
সপ্তাহের শুরুতে রাজ্যের পরামর্শদাতা ধরম পাল বিদ্যুৎ দফতরের ইউনিয়নের সঙ্গে কথাও বলেন, কিন্তু মেলেনি সমাধান সূত্র। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মঙ্গলবার বিকেলেই চণ্ডীগঢ় প্রশাসনের তরফে জরুরি পরিষেবা রক্ষণাবেক্ষণ আইন জারি করা হয়েছে। এই ধারায় আগামী ছয় মাসের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীদের বিক্ষোভের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কঙ্গনার সঙ্গে রিয়েলিটি শোতে মুনাওয়ার ফারুকি! ‘বড় সুযোগ’ প্রতিক্রিয়া ফারুকির
অবশেষে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করে এবং বুধবারের মধ্যে এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ারকে আদালতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। বিদ্যুৎ সঙ্কট মেটাতে পঞ্জাব ও হরিয়ানা সরকারের কাছে অতিরিক্ত কর্মী পাঠিয়ে সাহায্য করার আবেদন জানিয়েছে চন্ডীগড় প্রশাসন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584