নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
একদিনে ৩৮ গণতন্ত্রকামী মানুষকে গুলি করে মারল সেনা ও পুলিশ। বুধবার চরম নৃশংসতা প্রত্যক্ষ করলো মায়ানমার। আচমকাই দেশের শাসনক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নেয় মায়ানমার সেনা। পাল্টা ক্যু বা সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে পথে নামে দেশের সাধারণ মানুষ, গণতন্ত্রের দাবিতে তাঁরা পথে নামতেই নির্বিচারে গুলি চালায় সেনা ও পুলিশ, মৃত্যু হয় ৩৮ জনের।
শুধুমাত্র ইয়াঙ্গনেই মৃত্যু হয়েছে সাতজনের। গ্রেপ্তার হয়েছেন অন্তত ৩০০ জন। মনওয়ায় ছজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি মৃত্যুর খবর এসেছে মান্দালয়, মিঙগিয়ান শহরগুলি থেকে। শোনা যাচ্ছে মৃতের তালিকায় রয়েছে ৪ শিশুও। গণতন্ত্রপন্থী নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার আরও তীব্র বিক্ষোভ প্রদর্শনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত সারা বিশ্ব। শান্তি ফেরানোর নামে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে, এমনই অভিযোগ উঠল মায়ানমার সেনার প্রতি। আন সাং সু কি পন্থীদের দমন করতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সে দেশের সেনা। সেই উদ্দেশে নির্বিচারে দমন পীড়ন চালাচ্ছে তারা।
আরও পড়ুনঃ তাজমহলে বোমাতঙ্ক
অ্যাক্টিভিস্ট মং সাউংখা বলেছেন, “যেকোনও সময় গুলি খেতে পারি তা আমাদের জানা কিন্তু সেই ভয়ে এভাবে বেঁচে থাকা নিরর্থক। তাই আমরা লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।“
আরও পড়ুনঃ সরকারের বিরুদ্ধে ভিন্নমত পোষণ করা দেশদ্রোহিতা নয়ঃ সুপ্রিম কোর্ট
রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শরণার বার্জারার নিউইয়র্কে বলেছিলেন যে বুধবার ১ ফেব্রুয়ারি সবচেয়ে ‘রক্তক্ষয়ী দিন’ ছিল। ৩৮ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে চার শিশুও রয়েছে বলে একটি সংস্থা জানিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে যে কয়েক’শ প্রতিবাদকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584