শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
রাজ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সুস্থতার হার বেড়ে গিয়েছে। দেশে সুস্থতার ৫৫ শতাংশ হলেও রাজ্যে সুস্থতার হার ৬০ শতাংশ। সোমবার নবান্নে এমনটাই দাবি করলেন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে মেডিক্যাল কলেজের দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুুপারের। ফলে সমস্যা হতে পারে হাসপাতালের প্রশাসনিক কাজকর্মে।
অন্যদিকে সোমবার প্রকাশিত স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, রাজ্যে ২৪ ঘন্টায় ফের নতুন আক্রান্ত ৪১৩ জন, সুস্থ হয়েছেন ৩৯০ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। ফের ২৪ ঘন্টায় ৪১৩ জন করোনা পজিটিভে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৪৩৫৮ জনে। আরও ১৪ জনের মৃত্যু হওয়ায় রাজ্যে সরকারি হিসেবে মোট করোনায় মৃত্যু ৫৬৯ জনের। এদিকে আরও ৩৯০ জন সুস্থের হিসেব ধরলে মোট সুস্থ হলেন ৮৬৮৭ জন। তার মধ্যে এদিন অন্যান্য জেলার সঙ্গে মালদায় ৬২ জন এবং হুগলিতে ৪৭ জন সুস্থ হওয়ার জেরে সুস্থতার হার ফের বেড়ে দাঁড়াল ৬০.৫০ শতাংশে।
এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ৫১০২ জন। এদিন পর্যন্ত রাজ্যের ৪৯ টি ল্যাবে মোট করোনা টেস্টের সংখ্যা ৪১০৮৫৪ জনের। তার মধ্যে ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৯৩৬৩ জনের। রাজ্যের ৭৭ টি করোনা হাসপাতাল, ২৪ টি সরকারি এবং ৫৩ টি বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০৩৪০ টি বেড আছে, আইসিইউ পরিষেবা রয়েছে ৯৪৮ জনের। ভেন্টিলেটর রয়েছে ৩৯৫ টি। তার ২০.৯৫ শতাংশ রোগী ভর্তি আছেন।
আরও পড়ুনঃ সর্বদলীয় বৈঠকের আমন্ত্রণ জানিয়ে দিলীপকে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর
সরকারি ৫৮২ টি কোয়ারেন্টাইনে এখন রয়েছেন ৮৮২৭ জন। ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৯১৩৮০ জনকে। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১৩৩৩৯১ জন। ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ১৬৬২৯৭ জনকে। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন ফেরত পরিযায়ী শ্রমিকদের তথ্যে জানানো হয়েছে, ৫৮৩৫ টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ৫৩২১১ জন শ্রমিককে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে। করোনা পরীক্ষা করে সুস্থ দেখে ২০২৯১৬ জন শ্রমিককে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে সেফ হোম ও তার বেড সংখ্যা এবং সেখানে রোগীদের সংখ্যা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, রাজ্যের ১০৬ টি সেফ হোমে ৬৯০৮টি বেড রয়েছে এবং তাতে ১৯৮ জন রোগী রয়েছেন।
এছাড়া এদিনের বুলেটিনে জেলাওয়াড়ি তথ্যে জানানো হয়েছে, কলকাতায় এদিন ৮১ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় মোট সংক্রমণ ৪৭৩৪ জনের। এদিন কলকাতায় আরও মাত্র ৭ জনের মৃত্যু হওয়ায় কলকাতাতে মোট মৃত্যু ৩৩৬ জনের। এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনায় ৩ জন, হাওড়ায় ৩ জন এবং হুগলিতে ১ জনের মৃত্যু হওয়ায় মোট আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন অন্যান্য জেলার সঙ্গে হাওড়ায় ৬০ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় ৫৪ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৫২ জন, মালদায় ৪৬ জনের উল্লেখযোগ্য হারে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিনও উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম ছাড়া সংক্রমণ বেড়েছে রাজ্যের বাকি সমস্ত জেলাতেই।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584