শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
এখনও পর্যন্ত একদিনে ৪৬ করোনা আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠানোর রেকর্ড ছিল এমআরবাঙুর হাসপাতালের। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে একসঙ্গে ৬০ জনকে সুস্থ করে সোমবার বাড়ি পাঠাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। একদা করোনা বিধ্বস্ত যে হাসপাতালে যা প্রায় অসম্ভব ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই এই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। এই ঘটনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন হাসপাতাল আধিকারিক থেকে স্বাস্থ্যকর্তাদের একাংশও।
প্রসঙ্গত, এক সময়ে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ইডেন এবং এমসিএইচ বিল্ডিং। দাবি উঠেছিল আলাদা ভাবে কনটেনমেন্ট জোন তৈরির জন্য। দফায় দফায় কর্মী বিক্ষোভ, পিপিই, মাস্ক, স্যানিটাইজার, সরঞ্জাম না পাওয়ার অভিযোগের পাশাপাশি রোগীদের খেতে না পাওয়া, করোনা রোগীর ওয়ার্ডে কোনরকম পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুনঃ ২৮ মে কলকাতা-অণ্ডালে উড়ান শুরু
এমন নানান অভিযোগে জেরবার হয়ে উঠেছিলেন কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর সেই হাসপাতালকেই মুখ্যমন্ত্রী কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণার পর ‘ফাইট ম্যাপ’ তৈরি করে দিবারাত্র সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে এবার যেন পালটা ঘুরে দাঁড়াল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ।
এই হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী নির্মল মাঝি বলেন, “শুরুর দিকে সবকিছু গুছিয়ে নিতে একটু সময় লেগেছিল। ত্রুটি বিচ্যুতি ছিল, অস্বীকার করছি না। কিন্তু চিকিৎসক, সাধারণ কর্মী থেকে শুরু করে গোটা হাসপাতাল যে ভাবে করোনা আক্রান্তদের বাঁচানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তার ফলেই এই সাফল্য।”সোমবার দুপুর একটা নাগাদ ফুল এবং মিষ্টি দিয়ে অভিনন্দন জানিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে এক সময়ে সব চেয়ে বেশি সংক্রমণের শিকার হয়েও যেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ যেন দেখিয়ে দিল, ‘এভাবেও ফিরে আসা যায়।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584