শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
রাজ্যে করোনা সংক্রমণ শুরুর সময়ে প্রথম করোনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলার কথা ভাবা হয়েছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজকে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালের মধ্যে যেন নিজেই রেড জোন হয়ে উঠেছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আরও ৭ জনের শরীরে ছড়িয়েছে করোনার সংক্রমণ।
এদের মধ্যে একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক, হাসপাতালের ২ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী ও মেডিসিন বিভাগের ৪ জন আয়া। ফলে শুধুমাত্র কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে সংক্রমণ চিহ্নিত করা গিয়েছে ২১ জনের। আরও বেশ কয়েকজনের শরীরে এই রোগ বাসা বেঁধে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। করোনা হাসপাতাল নির্দিষ্ট হওয়ার পরেও পরেও পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জাম, পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার না থাকার কারণেই এই বিপত্তি বলে দাবি ওই হাসপাতালের ইন্টার্নদের।
প্রসঙ্গত, দু’দিন আগেই এই নিয়ে অভিযোগ করে প্রেস বিবৃতি দেওয়ার পাশাপাশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন ইন্টার্নরা। অভিযোগ, তখন সমস্ত কিছু সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন তা সব বিভাগে পৌঁছয়নি। পরিস্থিতি যে কতটা গুরুতর, তা আঁচ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অপারগ বলে দাবি ইন্টার্নদের। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত বিষয়টি জানিয়ে তারা স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে খবর।
সব মিলিয়ে ৬ জন চিকিৎসক, ৪ জন নার্স, ৩ রোগী, পিডব্লুডি বিভাগের ২ জন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কর্মী ও ৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেই এভাবে একের পর এক সংক্রমণের আশঙ্কার খবর মেলায় যারপরনাই উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য ভবন। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি পর্যালোচনায় উচ্চপর্যায়ের কমিটি তৈরি করা হতে পারে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে এমসিএইচ বিল্ডিংয়ের মেডিসিন ওয়ার্ডে।
কার্যত ‘ভূতের বাড়ি’র চেহারা নিয়েছে যেন মেল ও ফিমেল ওয়ার্ড। জনশূন্য, কোনও রোগী নেই মেল-ফিমেল ওয়ার্ডে। হাসপাতাল কর্মীরাও ওই ওয়ার্ড ছেড়ে অন্য একটি অফিস ঘরে বসে আছেন। ইডেন ও এমসিএইচ বিল্ডিংয়ের কেউ ধারে কাছেও যাচ্ছেন না। তবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য ভবনের তরফেও কোনও বিবৃতি মেলেনি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584