পল্লব দাস,বহরমপুরঃ
ভারতীয় গণনাট্য সংঘের পঁচাত্তর বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত নানা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় বহরমপুর রবীন্দ্রসদন প্রেক্ষাগৃহে।বেলা দুটো থেকে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত থাকার কথা ছিলো বিশিষ্ট অভিনেতা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি উপস্থিত থাকতে না পারলেও ফোনে অভিনন্দন জানান।মুখ্য অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক চন্দন সেন।
পঁচাত্তর বৎসর পূর্তি উপলক্ষ্যে ‘সাম্প্রতিক ভারতঃসমাজ ও সংস্কৃতি’ বিষয়ের উপর আয়োজিত সেমিনারে আলোচনা করেন বিশিষ্ট কবি সৈয়দ হাসমত জালাল,বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ মানবেন্দ্রনাথ সাহা।
সেমিনারের আলোচকদের বক্তব্যে ফুটে উঠেছে বর্তমান সময়ের শিল্প সৃষ্টির যন্ত্রণা।জাতপাতের ভেদাভেদে দীর্ণ ভোগবাদের কলুষে কলুষিত বিনোদন নির্ভরতা।মানুষের ক্ষোভ বিক্ষোভ শিল্পে শিল্পিত হচ্ছে কই?কবি সৈয়দ হাসমত জালাল ভারতের ঐতিহ্য ও জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে বলতে গিয়ে বর্তমান ভারতের সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদকে কটাক্ষ করে বলেন ভারতের মনীষীরা এই সংকীর্ণ জাতীয়তা বাদের বাণী প্রচার করেননি সামগ্রিক মানুষের ভূমি ভারতবর্ষ বিশেষ কোনো জাতি বা ধর্মের নয়।এছাড়া তিনি জানান সাহিত্যের প্রতি আধুনিক মানুষের অনুরাগের ঘাটতির কথা,আত্মকেন্দ্রিক জীবন যাপন প্রযুক্তি নির্ভর অতি বস্তুবাদি হয়ে ওঠা চারপাশের বিবরণ।কবি মন্তব্য করেন এই দিন বড় সুখের দিন নয়।
বিশ্বভারতীর অধ্যাপক ডঃ মানবেন্দ্র সাহা গণনাট্য সংঘের সৃষ্টির ইতিহাস এর ওপর আলোকপাত করেন । এরপর তিনি আক্ষেপ করেন এখনকার মৌলহীন সংস্কৃতির প্রশ্রয় প্রদান নিয়ে মেধাচর্চা অপেক্ষা বিনোদন চর্চা বেশি হচ্ছে তিনি মন্তব্য করেন তিনি বলেন শিল্প স্বার্থকতার বিচার হয় না এখনকার শিল্প কে মেধাহীন সংস্কৃতি বলে আখ্যা দেন তিনি
পরিচালক ও নাট্যকার চন্দন সেন বলেন এই পরিস্থিতি শিল্পীদের কাছে নতুন।
মূলত এখনকার রাজনৈতিক দলগুলির জাতপাত নিয়ে মেরুকরণ ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে শিল্পীদের তাদের মতো করে দাঁড়াতে হবে এই ছিল মূল উদ্দেশ্য।
গণনাট্য সংঘের শিল্পীদের নৃত্য ও সঙ্গীত,শুভপ্রসাদ নন্দী মজুদারের সঙ্গীত অরণি গোষ্ঠী ও প্রযুক্তি বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবৃত্তিও পরিবেশিত এই অনুষ্ঠানে।স্পন্দন নাট্য দল নাটক মঞ্চস্থ করে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584