পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাই অষ্টম শ্রেণির এই ছাত্রীর নেশা।তাই হাত খরচা টাকা বাঁচিয়ে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ালেন ক্লাস এইট এর পড়ুয়া সুলগ্না সেন।
নেশা হলেই তো হবেনা মানুষের পাশে দাঁড়াতে গেলে তো টাকা লাগবে, টাকা কোথায় পাবে সুলগ্না সে তো এখনো স্কুলছাত্রী।কিন্তু মানুষের পাশে তোকে দাঁড়াতেই হবে,এমনটাই তার মনোভাব।গত বছরও উত্তরবঙ্গে বন্যা বিধ্বস্ত দের জন্য এক হাজার টাকা তুলে দিয়েছিলেন জেলাশাসকের দফতরে,আর এবার বন্যা বিধ্বস্তের জন্য তিন হাজার দুশো আশি টাকা তুলে দিলেন জেলা শাসকের হাতে। এছাড়াও বিভিন্ন বিধ্বস্ত মানুষকে সাহায্য করতে মাঝে মাঝেই দেখা যায় এই ক্ষুদে পড়ুয়াকে।
পড়াশোনাতেও তুখোড় পাশাপাশি গান-বাজনা করতে ভালবাসে সুলগ্না।বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে,সেখান থেকে যেটুকু উপার্জন হয় রেখে দেয় বাবার কাছে।টিফিনের খরচ বাঁচিয়ে যেটুকু থাকে সেটাও রাখেন বাবার কাছে।পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজনরা ভালোবেসে কিছু দিলে সেটাও বাবার কাছে জমা রাখে সে।আর এটাই হলো তার আয়, নিজের এই স্বল্প আয় থেকেই যতটুকু পারে মানুষকে সাহায্য করে সে।টাকার অংকটা খুব বড় না হলেও তার এই মানসিকতাকে সম্মান জানাতেই হয়।যখন সমাজে হানাহানি-মারামারি ছবি হামেশাই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ঠিক সেই সময় এই ক্ষুদে পড়ুয়ার মনে যে এসেছে মানুষকে সাহায্য করার কথা,মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা সেটাই তো অনেক।এই ছাত্রীর কথা অনুযায়ী আমার বাঁচানো টাকা যদি কারোর ভালো কাজে লাগে এর থেকে বেশি আনন্দিত আমি আর কোন কিছুতে হব না। আর সে কারণেই আমি এমনটা করি। পাশাপাশি তার বাবা-মাও খুবই খুশি মেয়ের এমন স্বভাবের জন্য।তার বাবা-মায়ের বক্তব্য সত্যি আমরা গর্বিত এমন মেয়েকে কাছে পেয়ে।আমরা চাই আমাদের মেয়ে এই ভাবেই বড় হয়ে উঠুক, মানুষের পাশে থাকুক।
আরও পড়ুনঃ আলিপুরদুয়ারে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শোভাযাত্রা
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584