করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান মৃতিকার

0
28

নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ারঃ

রাজ্যে করোনা মোকাবিলার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ইতিমধ্যেই অনেকেই সাধ্যমত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি বেশ কিছু স্কুল পড়ুয়াদেরও এই তহবিলে নিজেদের জমানো, আবার কেউ কন্যাশ্রীর পাওয়া টাকাও দান করেছে মুক্ত হস্তে।

relief fund | newsfront.co
বিডিওর হাতে অর্থ দান। নিজস্ব চিত্র

সোমবার আবারও ত্রাণ তহবিলে নিজের জমানো টাকা দান করার উদ্যোগ নিল ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রী। জানা যায়, আলিপুরদুয়ার জেলার হ‍্যামিণ্টণগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ওই স্কুল ছাত্রী মৃতিকা দে। এদিন তার মাকে সাথে ছোট্ট মৃতিকা তার জমানো টাকা নিয়ে কালচিনি বিডিও অফিসে উপস্থিত হয়।

Mritika Dey | newsfront.co
মৃতিকা দে, স্কুল ছাত্রী। নিজস্ব চিত্র

আরও পড়ুনঃ কোভিড-১৯ মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে আর্থিক অনুদান বোর্ড অফ কাউন্সিলের

ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানা যায়, বহু মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ সাহায্য করেছে। তা দেখেই ছোট্ট মৃতিকা কিছু করার ইচ্ছে জাগে। তাই তার কাছে জমানো সব মিলিয়ে মোট ৫ হাজার ১ টাকা কালচিনি বিডিও ভূষণ শেরপা হাতে তুলে দেয় সে।

সেটা বড় ব্যাপার নয়, বিষয়টা হচ্ছে যখন সারা বিশ্ব করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করার জন্য লকডাউন করছে। আর সেই সময় দেশ এবং রাজ্যে তা মোকাবিলা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে ত্রাণ তহবিল। আর সেই তহবিলেই টিফিনের জমানো অর্থ দিতে এগিয়ে আসে, ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী মৃতিকা।

তবে এদিন কালচিনি বিডিও ভূষণ শেরপা জানান, ” মৃতিকা তার দীর্ঘদিনের জমানো টাকা আজ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে প্রদান করেন । তিনি আরও জানান, মৃতিকা আমাদের কাছে উদাহরণ যে ওর মত ছোটো বয়সের ছেলে মেয়েরা যখন খেলাধূলায় ব‍্যস্ত। তখন সে নিজের দীর্ঘদিনের জমানো টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে প্রদান করছে।”

যদিও এ বিষয়ে ছোট্ট মৃতিকা দে জানিয়েছে, ‘তার জমানো টাকা সে দান করতে চায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। সেই টাকা কাজে লাগলে সে খুব খুশি হবে ।’তবে ছোট্ট মৃতিকার এই প্রয়াসকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলার মানুষ।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here