আবাস যোজনার ঘর আত্মীয়কে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ সিজগ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে

0
71

জৈদুল সেখ, মুর্শিদাবাদঃ

আবাস যোজনার উপভোক্তা নিরুদ্দেশ। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান তাঁর নিজের ভাসুরের ছেলের একই নাম হওয়ায় তাঁকে পাইয়ে দিল সরকারি ঘর। ঘটনা ভরতপুর ১ ব্লকের অন্তর্গত সিজগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার। এনিয়ে আসল উপভোক্তার বোন সম্প্রতি প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।

panchayet pradhan accused for misusing abs yojana id
নিজস্ব চিত্র 

উপভোক্তার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০-২১ আর্থিকবর্ষে প্রধান মন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় উপভোক্তা হিসেবে নাম ছিল ওই পঞ্চায়েতের সৈয়দকুলুট গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হোসেনের। ওই তালিকায় তাঁর আই ডি নম্বর রয়েছে ৩৩৩৬১৮১। কিন্তু প্রায় দেড় বছর ধরে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। তাই তাঁর নামে সরকারি ঘর বরাদ্দ হলেও, তদারকি করার কেউ ছিলেন না।অভিযোগ, নিখোঁজ থাকার সুযোগকে পুরো কাজে লাগিয়েছেন সিজগ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রাসমিনা বিবি। প্রধানের ভাসুরের ছেলের নাম ইমরান হোসেন থাকায় তাঁকে ওই ঘর পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘর তৈরির পুরো টাকাও তুলে নেওয়া হয়েছে। যদিও নাম এক হলেও দুইজনের বাড়ি ভিন্ন গ্রামে। আসল উপভোক্তার বাড়ি সৈয়দকুলুট গ্রামে হলেও, যিনি টাকা পেয়েছেন তাঁর বাড়ি সিজগ্রামে। এই ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ওসি না শোধরালে ফাঁড়িতে বেঁধে তালাবন্ধ করে রাখা হবে! হুমকি চোপড়ার তৃণমূল বিধায়কের

সম্প্রতি আসল উপভোক্তা ইমরান হোসেনের বোন আসরফি বিবি এনিয়ে প্রশাসনের কাছে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছেন। আসরফি বিবি বলেন, আমার ভাইয়ের ঘরের তালিকায় নাম থাকলেও, ভাই দেড় বছর ধরে নিখোঁজ। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান নিজের ভাসুরের ছেলেকে ওই আই ডি ব্যবহার করে ঘর পাইয়ে দিয়েছেন। আমরা নেট মারফত এই সত্যতা জানতে পেরে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।

আরও পড়ুনঃ  রানী শিরোমণিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে অদ্বিতীয়ার উদ্যোগে কেবলমাত্র মহিলা রক্তদাতাদের রক্তদান শিবির

এবিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান রাসমিনা বিবি বলেন, ঘটনাটি আমার প্রতিনিধি হিসেবে আমার স্বামী বলবেন। পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী আমির হামজা বলেন, আমরা আসল উপভোক্তার ঠিকানা জানতে না পারার জন্য এই কাণ্ড ঘটেছে। কারণ তালিকায় উপভোক্তার গ্রামের নাম ছিল না। তাই একই নাম থাকার দরুণ আমার দাদার ছেলেকে ওই ঘরের টাকা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করেছিলাম, এই তাকিায় আমার দাদার ছেলের নাম দেওয়া হয়েছে। তবে আমিও চাই আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হোক। প্রয়োজনে ঘরের পুরো টাকা ফেরত দেওয়া হবে ।

 

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here