মীর রাকেশ রৌশান,বহরমপুরঃ
দুপুর তিনটে পনেরো মিনিট বহরমপুর রবীন্দ্রসদন চত্ত্বর থেকে নিজের নিজের বাইক নিয়ে আমি আর আমাদের ওয়েব নিউজ পোর্টাল ‘নিউজফ্রন্ট’এর এডিটর আবুল খায়ের একটি অ্যাসাইনমেন্টের উদ্দেশ্যে বের হলাম।আমি একটু এগিয়েই গিয়েছিলাম হঠাৎ খায়েরের ফোন অ্যাকসিডেন্ট হয়েছে তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের এখানে এসো।এসে দেখি কিছু জনতা উত্তেজিত।খায়ের তখন রাস্তার ধারে বসে,পা দিয়ে রক্ত ঝরছে হাঁটুর কাছে প্যান্ট ছিঁড়ে রক্তাক্ত সেখানেও।উত্তেজিত জনতা জানালো যে,ড্রাইভারকে পাশে বসিয়ে অন্য কেউ গাড়ি চালাচ্ছিল (সম্ভবত তিনি সেই অফিসের স্টাফ) বহরমপুর তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের যে গেটটি বহরমপুর প্রশাসনিক ভবনের দিকে,সেখান থেকে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে নিমেষে ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়া খায়েরের বাইককে সজোরে ধাক্কা মারে।
তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের বিপরীতে কালেক্টরেট ক্লাবের দেওয়ালের কাছে ছিটকে পড়ে খায়ের।উত্তেজিত জনতা গাড়ির ড্রাইভারকে ধরে ফেলে কিন্তু যে গাড়িটি ড্রাইভ করছিল সে পালিয়ে যায়।ইতিমধ্যে ব্যাস্ত অফিস এলাকা জ্যাম হয়ে যাওয়ায় ড্রাইভার গাড়ি সাইড করার নাম করে তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের অফিসে ঢুকে পড়ে ।
ততক্ষনে আমি চলে এসেছি অফিসে খোঁজ নিতে ঢুকলে তারা জানায় যে,তারা জানে না,কি ব্যাপার কে গাড়ি চালাচ্ছিল ইত্যাদি।ওদের ডিপার্টমেন্টের গাড়ী অথচ ড্রাইভার কে কিভাবে গাড়ী ব্যাবহার হচ্ছে কিছুই জানেন না উনারা।অবাক হওয়ার তখনও বাকি, সমগ্র অফিসে কোন আধিকারিক নেই যিনি তাঁদের দপ্তরের গাড়ী সম্পর্কে তথ্য দেবেন অথচ দপ্তরটি তথ্য সংস্কৃতি(!)।
ফোন করলাম জেলা তথ্য অধিকর্তাকে,তিনি জানান জিয়াগঞ্জে আছেন কাজ সেরে বাড়ি ফিরে যাবেন।আমি তাঁকে ফোনেই জানাই যে তবে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাচ্ছি আমরা।তিনি ফোন কেটে দেন।আঘাত গুরুতর না হলেও গুরুতর হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।হেলমেট বাঁচিয়ে দিল আজ খায়েরকে।আমরা থানায় যায়। থানায় লিখত অভিযোগ জমা দিয়ে এসেছি।পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।এখন দেখার কি হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584