নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
২০২১’র প্রথম জনসভায় অভিষেকের জোড়া নিশানা শুভেন্দু ও বিজেপি। বৃহস্পতিবার গঙ্গারামপুরের সভা থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের আক্রমণ করে যুব তৃণমূল সভাপতি বলেন, এইসব বহিরাগতরা ভোটের পর রাজ্য থেকে পালিয়ে যাবে। এদিন নাম করে শুভেন্দুকে তোলাবাজ, দিলীপ ঘোষকে গুন্ডা এবং অমিত শাহকে বহিরাগত বলে উল্লেখ করেন অভিষেক।
বিজেপিতে যোগ দিয়েই শুভেন্দু অধিকারী স্লোগান তুলেছিলেন ‘তোলাবাজ ভাইপো হাটাও’। তার জবাবে ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে শুভেন্দুকেই তোলাবাজ বলে কটাক্ষ করেছিলেন অভিষেক।
এদিন গঙ্গারামপুরের সভাতেও অভিষেকের আক্রমণ, ‘‘আমাকে তোলাবাজ ভাইপো বলা হচ্ছে। কিন্তু তোলাবাজ তো আপনি। টিভিতে টাকার বান্ডিল নিতে আপনাকেই দেখেছিল মানুষ।“
এরপর অভিষেক সভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, টিভিতে টাকা নিতে কাকে দেখেছিলেন? কে টাকা নিয়েছিল? জনতা চেঁচিয়ে বলে, ‘শুভেন্দু অধিকারী’। এদিন ফের অভিষেক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, “আমার পিছনে ইডি-সিবিআই লাগাতে হবে না। তোলাবাজ প্রমাণ করতে পারলে একটা ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করুন, আমি নিজে গিয়ে ফাঁসিতে ঝুলতে রাজি আছি।“
আরও পড়ুনঃ শুভেন্দু অধিকারীর নরকেও জায়গা হবে না! নেতাইয়ে বিস্ফোরক মদন
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে শুভেন্দুকে বারবার নিজের বক্তব্যে বলতে শোনা গেছে, বাংলাকে মোদিজির হাতে তুলে দিতে হবে। কেন্দ্র-রাজ্যে একই দলের সরকার থাকলে বাংলার উন্নয়ন হবে।
সেই বক্তব্যকেই এদিন নিশানা করেন অভিষেক। তিনি এদিন বলেছেন, ‘‘কেন দিল্লি আর কলকাতায় একই সরকার থাকবে? চুরি করায় সুবিধা হবে বলে?’’ অভিষেক আরও বলেন, ‘‘দেখবেন মধ্যপ্রদেশ, গুজরাতে কোনও চোর ধরা পড়ে না। দুর্নীতি ধরা পড়ে না। কারণ ওই সব রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। ফলে সিবিআইও নেই, ইডিও নেই।
আরও পড়ুনঃ কোচবিহার ব্লক কমিটি গঠন নিয়ে অস্বস্তি তৃণমূলের, পদত্যাগ ১৬ জন পদাধিকারীর
বহিরাগত ইস্যুতে এদিন তাঁর তোপ, ‘‘আমাকে তোলাবাজ ভাইপো বলে আক্রমণ করছে। আমার নাম নিতে পারে না। কিন্তু আমি নাম করে বলছি, দিল্লির নেতারা বহিরাগত। অমিত শাহ বহিরাগত। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বহিরাগত। দিলীপ ঘোষ গুন্ডা। আকাশ বিজয়বর্গীয় গুন্ডা। হিম্মত থাকলে আমার নামে মামলা করে দেখান। আমি কোর্টে লড়ে নেব।“
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584