সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
‘আগামী বিধানসভায় বিজেপির শেষ যাত্রা হবে। ওদের আর জয় শ্রীরাম বলতে হবে না।ওদের বলো হরি হরি বল বলে খাটিয়ায় তুলে বাংলা থেকে বিদায় করা হবে।
আর এই জেলা থেকে সেটা সম্ভব হবে।ওদের এরাজ্যে দাঙ্গা করতে দেবো না।দাঙ্গা করে ওরা ভারতবর্ষে ক্ষমতায় এসেছে।যেখানে যেখানে ক্ষমতায় এসেছেন সেখানে সেখানে দাঙ্গা হয়েছে।তাই এরাজ্যে দাঙ্গা করলে “লক এন্ড কি”।ওদের এখানে দাঙ্গা করতে দেওয়া যাবে না।’
এই ভাবে এ দিন বিজেপি আক্রমণ করলেন তৃনমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি আরো বলেন, “বিজেপিকে তাড়াতে গেলে তারজন্য ভোটের শতাংশ বাড়াতে হবে।মানুষের কাছে যেতে হবে।বাড়াতে হবে জনসংযোগ।২০২১ সালে বাংলার মানুষ বিজেপিকে জবাবা দেবে।তাই বিজেপি যতই আগুন লাগানোর চেষ্টা করুক না কেন। ৪৪ শতাংশ ভোটকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করতে হবে। রাজ্যে তৃনমূল আগামী বিধানসভাতে ২৫০ আসন করতে হবে।”
কাটমানি নিয়ে ও এদিন তিনি বলেন, “দলের কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে আসলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সেই ক্ষেত্রে বিজেপি তে গিয়ে লাভ হবে না।যে দাদার পাঞ্জাবি ধরে ঝুলুন না কেনো পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই তাকে জামার কলার ধরে নামানো হবে।কেউ রেহাই পাবেন না।”
এদিন এই সভা থেকে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা করা হয়।জেলার প্রতিটি এলাকা থেকে যাতে আগামী দিনে বহু মানুষ ২১ জুলাই সভামঞ্চে উপস্থিত হন তার জন্য যুব সমাজ কে এগিয়ে আসার জন্য দলীয় কর্মীদের আহ্বন জানান।এই জেলা থেকে একলক্ষ মানুষ নিয়ে যেতে হবে।
এই দিন এই বর্ধিত কর্মীসভায় বক্তব্য রাখতে শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, দলের মধ্যে থাকতে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে কথা বলতে হবে। দলের বাইরে গিয়ে বেসুরে কথা বলা যাবে না। যদি কেউ বলেন তাহলে দলের সে যত বড় কর্মী হোক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃনমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে বর্ধিত কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয় সোনারপুরের জয়হিন্দ অডিটোরিয়াম হলে।এই বর্ধিত কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংসদ চৌধুরী মোহন জাটুয়া,শুভাশিস চক্রবর্তী,বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা,ফিরদউসি বেগম, দুলালা দাস,অশোক দেব, যুব তৃনমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সওকাৎ মোল্লা অনিরুদ্ধ হালদার প্রমুখ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584