পাঁচন,নকুল দানার পর লেবু জলের নিদান অনুব্রতর

0
65

পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
গত লোকসভা ভোটে হেরে গেলেও বোলপুর কেন্দ্রে সি.পি.আই(এম)-র টিকিট পেয়েছেন রামচন্দ্র ডোম।আর এই বর্ষীয়ান প্রার্থীর জন্য এবার লেবুজল দাওয়াই দিলেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

Abubrata  insinuation to cpm candidate
নিজস্ব চিত্র

আজ মুরারই ও হাঁসনের তিনমাথা মোড়ে অনুব্রত সভা করেন। মুরারইয়ের সভা শেষে তিনি বলেন, “রামচন্দ্র ডোম খুব অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন।বোলপুর লোকসভার জন্য লেবুজল খাওয়াতে হবে।বয়স হয়েছে তো।হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে আর ফিরে পাওয়া যাবে না।আবার ভোটটা পিছিয়ে যাবে।” পাশাপাশি, রাজ্যে বি.জে.পি-র কোনও স্থান নেই বলে কটাক্ষ করে অনুব্রত বলেন, “রাজ্যে তৃণমূল ৪২ টা আসনই পাবে। একটি সংবাদমাধ্যমের সমীক্ষায় না কি দেখিয়েছে রাজ্যে বি.জে.পি আটটি আসন পাবে।৪টি আসন পেলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।আর মোদী সরকার যদি কেন্দ্রে ফিরে আসে,তাহলেও আমি রাজনীতি করব না।”
অন্যদিকে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী রামচন্দ্র ডোম বলেন নির্বাচনের দিন বোঝা যাবে লেবু জল প্রয়োজন কার।
এদিকে প্রচারে বেরিয়ে রামচন্দ্র ডোম বাতাসা খাওয়া কে নিয়ে কটাক্ষ করেন।বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, তিনি বলেন রামবাবু বুঝে গেছেন ভোটের ফলাফল কি হবে তাই আগে থেকেই বাতাসা খেয়ে পেট ঠান্ডা করছেন।তৃণমূল ও সিপিএমের বাক যুদ্ধের মাঝে ফোড়ন দেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দুধকুমার মন্ডল।তিনি বলেন, “লেবু জল নকুলদানা নিয়ে ওরা মাতামাতি করুক তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না,মানুষ তালে তালে ঠিক করে নিয়েছে বিজেপিকে জয়ী করবে তাই লেবু জল নকুল দানার উপর পড়ল না নকুল দানা ডিগবাজি খেয়ে লেবু জলের উপর পড়লো এ নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।”
বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বার বারই শিরোনামে আসেন ‘কেষ্টদা’। এখন এই ‘লেবু জল’, ‘হোঁচট খাওয়া’- কথার আড়ালে কোন ইঙ্গিত লুকিয়ে থাকতে পারে, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।তবে, সেকথা সময়ই বলবে।
রবিবার বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শতাব্দী রায় প্রচারে বেরিয়ে কীর্তন দলের সাথে প্রচার সারলেন।নলহাটি ১ নং ব্লকের রঘুনাথপুরে রাস্তার দু’ধারে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন বয়সের মহিলারা এসেছিলেন শতাব্দী রায়ের সঙ্গে দেখা করতে। বয়স্ক মহিলারা দু’হাত তুলে প্রার্থীকে আশীর্বাদ দেন।শতাব্দী রায় বলেন,”গত ১০ বছর ধরে আমি আপনাদের সুখে দুঃখে সব সময় সর্বদা থেকেছি তাই ভোট চাইতে এসেছি,এরকম নয় যে সাংসদ হিসাবে আপনাদের উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করেছে, বা আপনাদের দাবি-দাওয়া কখনোই মেটাইনি। কাজ করেছি তাই আপনাদের কাছে এসেছি মাথা উঁচু করে ভোট চাইতে।আশা করি আমাকে জিতিয়ে আপনারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করবেন।”

আরও পড়ুনঃ চার আসনে প্রার্থী ঘোষণা আদিবাসী সমন্বয় মঞ্চের

বীরভূম জুড়ে এদিন নির্বাচনী প্রচারের সাথে ছিল একে অপরকে দেওয়া রাজনৈতিক চিমটি।কখনো সে সব নিয়ে তামাশা চলছে আবার কখনো রাজনৈতিক মানে খোঁজার প্রবণতা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here