পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
কালিমালিপ্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এবার প্রশ্নপত্র বিক্রির অভিযোগ ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে। মেলার মাঠে প্রাচীর বিতর্কে বেশ কিছুদিন আগে বোলপুরে এসে বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল বলেছিলেন, পৌষ মেলার মাঠে নিয়মিত যৌন চর্চা হয় তাই বিশ্বভারতী নিজের মাঠ প্রাচীর দিয়ে ঘিরে ফেলতে চেয়েছে, এতে কোন অন্যায় নেই।
বিজেপি নেত্রীর এই বক্তব্যের পর রাজ্যজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। একজন শিক্ষিত মানুষের এই অর্বাচীন বক্তব্যের সমালোচনা করেছিলেন বিশ্বভারতীর আশ্রমিক, সাধারণ মানুষ, ছাত্র-ছাত্রী এককথায় সর্বস্তরের মানুষ। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের কালিমালিপ্ত বিশ্বভারতী। এবার বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপির বিশ্বভারতীর ইউনিটের ছাত্রনেতা সৌম্য দত্তের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র বিক্রির গুরুতর অভিযোগ উঠল৷ একটি অডিও ক্লিপে ছাত্রনেতাকে বলতে শোনা যায় গত পুরোনো চার বছরের প্রশ্নপত্র পেতে হলে দুশো টাকা করে দিতে হবে। বিশ্বভারতীর এক পড়ুয়ার হোয়াটস অ্যাপে এবিভিপি ছাত্রনেতার কথোপকথনের স্ক্রীনশট প্রকাশ্যে চলে আসে।
সেখানে ছাত্রনেতা পরিষ্কার লিখছে দুশো টাকা দিলে তবেই পুরোনো প্রশ্নপত্র মিলবে। জানিয়ে ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গেছে বিশ্বভারতী জুড়ে। ইতিমধ্যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বীরভূম জেলার সভাপতি সুরঞ্জন চ্যাটার্জী জানিয়েছেন, ” খুব স্বাভাবিক।
আরও পড়ুনঃ বিনোদন জগতের সম্মানহানি হচ্ছে, সংসদ সরব জয় বচ্চন
যেখানে বিশ্বভারতীর উপাচার্য একের পর এক নক্কার জনক ঘটনা ঘটাচ্ছে অথচ বিশ্বভারতীর আচার্য তথা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চুপ করে উপাচার্যের সেইসব অন্যায়কে প্রশ্রয় দিচ্ছেন, তখন সেই দলের ছাত্র সংগঠন এই ধরনের অপরাধ সংগঠিত করবে এটাই খুব স্বাভাবিক।” বিশ্বভারতীর এস.এফ.আই এর ছাত্র নেতা সোমনাথ সৌ জানিয়েছেন, “বিষয়টি নজরে আসার পরে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ঘটনার তদন্ত চেয়ে চিঠি দিয়েছি। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষার আশ্রমে এবিভিপি যে সংস্কার আমদানি করছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক।” যদিও অভিযুক্ত এবিভিপি ছাত্র নেতার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোন সুইচ অফ আসে।
আরও পড়ুনঃ মুঘল মিউজিয়ামের নাম বদল করার কথা ঘোষণা করলো যোগী সরকার
ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন আশ্রমিক সুবোধ মিত্র, বাড়ির গৃহকর্তা যখন একের পর এক অন্যায় সংগঠিত করছে বিশ্বভারতীতে তখন বাড়ির ছোটরা একই পথে হাঁটবে এটাই স্বাভাবিক। বিশ্বভারতীর উপাচার্য হলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক গৃহকর্তা, তিনি যখন নিয়ম শৃংঙ্খলার তোয়াক্কা না করে একের পর এক ভুল করছে তখন তাকে দেখেই এবিভিপির ছাত্রনেতা উৎসাহিত হচ্ছে এবং উপাচার্যের দেখানো পথেই এগিয়ে যাচ্ছে। অধ্যাপকদের দাবি গুরু উপাচার্য প্রাচীর তুলে কাটমানির টাকা পকেটে পুরছে, এবিভিপি ছাত্রনেতা তার পরিধি অনুযায়ী প্রশ্নপত্র বিক্রি করছে। আসলে বিশ্বভারতী কে লুটেপুটে খাওয়ার লাইসেন্স দিচ্ছে স্বয়ং বিশ্বভারতীর বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584